ভোটের মাঠে মিজোরামের রাজ্যপাল, জল্পনায় তথাগত

বিজেপির বর্তমান কেরল রাজ্য সভাপতি শ্রীধরন পিল্লাইয়ের কথায়, ‘‘আমরা রাজশেখরনকে কেরলে স্বাগত জানাচ্ছি। কিছু পরিকল্পনা আছে নিশ্চয়ই। কেরলে বিজেপির সম্ভাবনাও আগের চেয়ে এ বার বেশি।’’

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

রাজভবন থেকে বার করে দলের পুরনো সেনানীদের ফের ভোটের ময়দানে ফেরাতে চায় বিজেপি! এই জল্পনাই জোরদার হল মিজোরামের রাজ্যপালের আচমকা ইস্তফা এবং দ্রুত তা রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে মঞ্জুর হওয়ার ঘটনায়।

Advertisement

লোকসভা ভোট ঘোষণার ঠিক আগেই মিজোরামের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কুম্মানাম রাজশেখরন। বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতির পদ থেকে তুলে তাঁকে রাজ্যপাল করা হয়েছিল গত মে মাসে। ভোটের মুখে তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে তিরুঅনন্তপুরম আসন থেকে লোকসভায় প্রার্থী করতে চায় বিজেপি। মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়ের ক্ষেত্রেও এক সূত্র মানা হতে পারে বলে চর্চা চলছে বিজেপির অন্দরে। গোটা বিষয়টিই নিয়ন্ত্রণ করছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

কেরল থেকে এ বার লোকসভায় আসন জিততে মরিয়া অমিত শাহেরা। দক্ষিণী রাজ্যে এখন এক জনই মাত্র বিধায়ক আছে বিজেপির। দলীয় সূত্রের খবর, তিরুঅনন্তপুরম আসনে কংগ্রেসের সাংসদ শশী তারুরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হবে রাজশেখরনকে। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখেই মিজোরাম থেকে নিজের রাজ্যের রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে। পাঁচ বছর আগে নরেন্দ্র মোদী হাওয়ায় তিরুঅনন্তপুরম কেন্দ্রে দু’লক্ষ ৮২ হাজার ভোট পেয়েছিল বিজেপি। তারুর সে বার জিতেছিলেন ১৫ হাজার ভোটে। কিন্তু এ বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি, রাজ্যেও কংগ্রেস সরকারে নেই। তাই প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার হাওয়া তারুরের বিরুদ্ধে কাজ করবে না। সেখানে রাজশেখরনকে এনে নতুন চাল দিতে চায় বিজেপি।

Advertisement

আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার পথেই হাঁটল সুপ্রিম কোর্ট, গঠিত হল তিন সদস্যের প্যানেল

বিজেপির বর্তমান কেরল রাজ্য সভাপতি শ্রীধরন পিল্লাইয়ের কথায়, ‘‘আমরা রাজশেখরনকে কেরলে স্বাগত জানাচ্ছি। কিছু পরিকল্পনা আছে নিশ্চয়ই। কেরলে বিজেপির সম্ভাবনাও আগের চেয়ে এ বার বেশি।’’ তিরুঅনন্তপুরমে আগের প্রার্থী বদল করে সিপিআই এ বার দাঁড় করাতে চায় সি দিবাকরনকে।

তথাগতবাবু অবশ্য প্রথমে ত্রিপুরা ও পরে মেঘালয়ের রাজ্যপাল হিসেবে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। পুলওয়ামা হামলার পরে কাশ্মীরি পণ্য বয়কটের ডাক সমর্থন করার জন্য স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে পর্যন্ত রাজ্যপালের সমালোচনা করতে হয়েছে। বিজেপির একটি সূত্রের খবর, রাজ্যপাল পদ ছেড়ে তথাগতবাবুকেও সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরানো হতে পারে। তথাগতবাবু নিজেও তাতে বিশেষ অনাগ্রহী নন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। গত বার দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তথাগতবাবু কড়া প্রতিদ্ব্বন্দ্বিতায় ফেলেছিলেন তৃণমূলকে। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে কিছু ভোটে ‘লিড’ও পেয়েছিলেন। রাজ্য বিজেপির একটি বড় অংশ অবশ্য তথাগতবাবুকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখতে চান না। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন শাহেরাই।

সুযোগ পেলে তিনি কি সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরবেন? জানতে চাওয়া হলে শিলং থেকে খোদ তথাগতবাবু বলছেন, ‘‘এখন থেকে কী করে বলা যাবে? সুযোগ পেলে তখন বলতে পারব! এখনও তো সুযোগ আসেনি!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন