—ফাইল চিত্র।
রামমন্দির নিয়ে ফের রথযাত্রা! ৯ ডিসেম্বর দিল্লির রামলীলা ময়দানে সাধু-সন্তদের সভার আগে রাজধানীর কোণে কোণে রথ চালাবে আরএসএস। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এই যাত্রা। এর মধ্যেই পড়বে ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন।
রামমন্দির নিয়ে হাওয়া তুলতে গত ক’মাস ধরেই সক্রিয় গেরুয়া শিবির। আদালতে ভরসা না-রেখে প্রধানমন্ত্রীকে সন্তরা ‘আদেশ’ দিয়েছেন, আইন করে অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ করতে। সংসদের অধিবেশন শুরু ১১ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই অধিবেশনে আইন আনার কথা এখনই ভাবছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকি লোকসভার আগেও আইন না আনার ইঙ্গিতই দিচ্ছেন অমিত শাহ। বিজেপি সভাপতি আজ বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি আছে। দেখা যাক, কী হয়। আরএসএসের সঙ্গে কথা বলব।’’ কিন্তু হিন্দুদের একাংশ তো অস্থির? অমিতের জবাব, ‘‘অযোধ্যায় রামমন্দির হবেই। কংগ্রেস তা পিছোনোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, বিজেপি এলেই মন্দির নির্মাণ হবে, কংগ্রেস এলে হবে না।’’
প্রশ্ন উঠছে, লোকসভার আগে মন্দির নিয়ে কোনও আইন না করে কি শুধু হাওয়াই তুলতে চাইছে বিজেপি?
আজই রামমন্দির নিয়ে দিল্লিতে সম্মেলন করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির নেতারা। পরিষদের নেতা অলোক কুমার বলেন, ‘‘৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বড় সভা হচ্ছে। শীঘ্রই বলতে পারব, কবে অযোধ্যায় করসেবার জন্য যেতে হবে।’’ রাহুল গাঁধীকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘‘আগে তাঁর পৈতে দেখা গিয়েছিল, এখন তো গোত্রও বেরিয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করব, যাতে বিল এলে কেউ বিরোধিতা করতে না পারে।’’
রামমন্দির নিয়ে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনার তোড়জোড় করছেন আরএসএস সমর্থিত সাংসদ রাকেশ সিন্হা। আজ তাঁর হুঙ্কার, ‘‘রামমন্দির নিয়েও ’৯০ সালে অসহযোগ আন্দোলন হয়েছে, ’৯২ সালেরটা ছিল আইন-অমান্য। আর ২০১৮ সালে হবে ‘ভারত-ছাড়ো’ আন্দোলন।’’