রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছেন। আবার নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহকেও ব্যক্তিগত আক্রমণ করেননি। দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানে ‘খুশি’ বিজেপি। উল্টে মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদও আজ দেখা করলেন মমতার সঙ্গে।
গোরক্ষপুর, ফুলপুরের উপনির্বাচনে স্পষ্ট হয়েছে, বিরোধীরা একজোট হলে লোকসভায় সমস্যায় পড়বে বিজেপি। তাই বিরোধী জোট ভাঙতে সক্রিয় অমিতেরা। তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের পর মমতা যেভাবে ফেডারাল ফ্রন্ট গড়তে সক্রিয় হয়েছেন, তাতে তাদের লাভই দেখছে বিজেপি। কারণ, সে ক্ষেত্রে মোদী-বিরোধী জোট দানা বাঁধতে পারবে না। খোদ অমিতও ফেডারাল ফ্রন্টকে কার্যত স্বাগত জানিয়ে সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘‘রাহুল গাঁধীর রেকর্ডে ভরসা না রেখেই এই জোট হচ্ছে।’’
তবে মমতার এই তৎপরতা ভাল চোখে দেখছে না অনেক বিরোধী দল। এক নেতার কথায়, ‘‘বিজেপির হাত শক্ত করে কি সিবিআই, ইডির তদন্ত আরও শ্লথ করতে চাইছেন মমতা? এটাই কি গোপন সমঝোতা?’’
বিজেপির এক নেতা অবশ্য বলেন, বিরোধী শিবিরে যাঁরা এক ছাতার তলায় আসতে চাইছেন, তাঁদের অনেকেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা আছে। ফলে বিজেপি যত এই নেতাদের উস্কে দেবে, ততই নেতৃত্বের প্রশ্নে ছত্রভঙ্গ হবে বিরোধী জোট। সে কারণে বিজেপি নেতারা এখন থেকেই প্রকাশ্যে বলতে শুরু করেছেন, ‘‘বিরোধী জোটের নেতা কে? কে তাঁদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?’’ যে কারণে সদ্যসমাপ্ত রাজ্যসভা ভোটেও তেলঙ্গানায় চন্দ্রশেখর রাওয়ের দলের প্রার্থীদের জয় সুগম করতে বিজেপি ভোটেই লড়েনি।