দলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানেই দেখা গেল না লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। কিন্তু দিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদী, মুম্বইয়ে অমিত শাহ এই দিনকে হাতিয়ার করেই লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন। নিজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, গরিব পরিবারের তাসটি খেলে মোদী দলের কর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেন। শিবসেনা-সহ সব শরিক দলের নেতাদের থেকেও আদায় করলেন দলের জন্মদিনের অভিনন্দন।
ক’দিন আগেও যে ‘নমো অ্যাপ’ ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল, আজ তার মাধ্যমেই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানেই বললেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া শ্রেণির গরিব ঘর থেকে প্রধানমন্ত্রী হয়েছি বলে কংগ্রেস ও বিরোধীদের হজম হচ্ছে না। যে কোনও ভাবে তারা চায়— মোদী হটাও। তাদের মুখে মিথ্যা-মিথ্যা-মিথ্যা, আর আমাদের কাজ শুধু জয়-জয়-জয়!’’
জন্মদিনে দিল্লিতে বিজেপির নতুন দফতরে উৎসবও হল। কিন্তু সেখানে আডবাণী নেই। দলের অবশ্য বক্তব্য, সকালে সংসদীয় দলের বৈঠকে ছিলেন তিনি। আজই স্ত্রীর প্রয়াণ দিবস হওয়ায় উৎসবে থাকেননি। মুম্বইয়ে অমিতের অনুষ্ঠানে প্রয়াত প্রমোদ মহাজন, গোপীনাথ মুন্ডের ছবি না-থাকা নিয়েও অসন্তোষ ছড়িয়েছে। তবে মোদী-অমিত শাহের কথায় আজ বার বার ফিরে এল অটলবিহারী বাজপেয়ীর কথা। পোখরান বিস্ফোরণের কুড়ি বছর ১১ মে ‘রাষ্ট্রভক্তি দিবস’ হিসেবে পালন করবে বিজেপি।
কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘বিজেপি এমন ভাব দেখাচ্ছে, যেন তারাই একমাত্র রাষ্ট্রভক্তির ঠিকাদার। যেন বাকিদের দেশভক্তি নেই।’’ কিন্তু বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, বিরোধীরা একজোট হচ্ছে। কিন্তু তার পরেও প্রতি কেন্দ্রে বিজেপি যাতে ৫০%-এর বেশি ভোট পায়, সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন মোদী-শাহ। আর বুথে বুথে সেই কাজটি করতে পারে কর্মীরাই।