Electoral Bonds

BJP: বিজেপি ২০১৯-২০ সালে ২৫৫৫ কোটি টাকা পেয়েছে নির্বাচনী বন্ডে: রিপোর্ট

বিজেপি- প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৩১৮ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে সনিয়া গাঁধীর দল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২১ ২২:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে চাঁদা তোলায় অন্য দলগুলিকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মোট ৩,৩৫৫ কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করেছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তার মধ্যে বিজেপি-র তহবিলে গিয়েছে ২,৫৫৫ কোটি। যা নির্বাচনী বন্ডের মোট তহবিলের প্রায় ৭৬ শতাংশ।

Advertisement

বিজেপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস নির্বাচনী বন্ডে চাঁদার টাকার অঙ্কে অনেক পিছিয়ে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ৩১৮ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে সনিয়া গাঁধীর দল। যা মোট নির্বাচনী বন্ডের মাত্র ৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা তৃণমূল পেয়েছে ১০০ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা।

এ ছাড়া স্ট্যালিনের ডিএমকে ৪৫ কোটি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা ৪১ কোটি, শরদ পওয়ারের এনসিপি ২৯ কোটি ২৫ লক্ষ, অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমী পার্টি ১৮ কোটি এবং লালুপ্রসাদের আরজেডি আড়াই কোটি টাকা পেয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে।

Advertisement

কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে ১,৪৫০ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছিল। অঙ্কের হিসেবে তা এক বছরের মধ্যে বেড়েছে প্রায় ৭১ শতাংশ। অন্যদিকে, কংগ্রেসের চাঁদা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৩৮৩ কোটি ছিল। তা কমেছে প্রায় ১৭ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির চাঁদা সংগ্রহের ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বিরোধীরা আপত্তি তুললেও মোদী সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। এই ব্যবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের থেকে এই বন্ড কিনে যে কেউ তার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দিতে পারেন। কিন্তু এর ফলে কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলে চাঁদা দিচ্ছে, তা জানার কোনও উপায় থাকে না। বিনিময়ে তারা কোনও সুবিধা আদায় করছে কি না, তা-ও বোঝার উপার নেই। এই পদ্ধতি চালু হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ই বিজেপি-র বিরুদ্ধে চাঁদায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন