ডিমা হাসাওয়ে বিপাকে বিজেপি

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এপ্রিলে। ডিমা হাসাও জেলায় সব রাজনৈতিক দলই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। পাহাড়ি জেলায় সবার আগে ভোট প্রচার শুরু করেছিল স্থানীয় রাজনৈতিক দল ‘হিল স্টেট ডিমান্ড কাউন্সিল’ (এইচএসডিসি)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাফলং শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৬ ০২:৫৫
Share:

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন এপ্রিলে। ডিমা হাসাও জেলায় সব রাজনৈতিক দলই ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। পাহাড়ি জেলায় সবার আগে ভোট প্রচার শুরু করেছিল স্থানীয় রাজনৈতিক দল ‘হিল স্টেট ডিমান্ড কাউন্সিল’ (এইচএসডিসি)। আর সদ্য কংগ্রেসের কাছে পরিষদ হারিয়ে মনমরা বিজেপিও বিধানসভায় কংগ্রেসকে জবাব দিতে উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু বিজেপিকে ফের বেজায় ধাক্কা দিল কংগ্রেস। গুঞ্জুংয়ে ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেস সভাপতি মহেন্দ্র কেম্প্রাইয়ের উপস্থিতিতে জয়থন লংমাইলাই, জাইতানন নুনিসা ও সবেন হাফলংবারের নেতৃত্বে ৫৬৬ জন বিজেপি কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিলেন। তাঁদের সঙ্গে কয়েকজন এইচএসডিসি কর্মীও কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে জেলা কংগ্রেসের দাবি।

Advertisement

কেম্প্রাই বিজেপি ও এইচএসডিসি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া কর্মীদের দলে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘ভোটের আগে এতজন সক্রিয় কর্মীকে দলে পেয়ে কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’’

ডিমা হাসাও জেলা বিজেপি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। দলীয় সূত্রে খবর, বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বিজেপি দলে দেখা দিয়েছে কোঁদল। দলের মধ্যেই জেলা সভাপতি বি বি হাগজারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর কাজে খুশি না হয়ে জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি হামজানন লাংথাসা, বিরাট লাংথাসা, বিনন্দ লাংথাসা দলত্যাগ করেছেন। গত সোমবার হারাঙ্গাজাওয়ে গাঁধী সভাতে কংগ্রেসে যোগ দেন বিরাট লাংথাসা। হামজানন ও বিনন্দও কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisement

এইচএসডিসির জেলা সভাপতি কেবারন নাইডিং বলেন, ‘‘গুঞ্জুংয়ে যে সব কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তাঁরা আগে কংগ্রেস দলেই ছিলেন। পার্বত্য পরিষদের সদস্য প্রকান্ত ওয়ারিশা বিজেপি দলে যোগ দেওয়ার পরে ওই কর্মীরা বিজেপি দলে যোগ দিয়েছিলেন। এখন গুঞ্জুংয়ের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রকান্তকে নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তাই ওই সব কর্মী প্রকান্তর সঙ্গ ছেড়ে ফের কংগ্রেসে চলে যান।’’ এইচএসডিসির জেলা সভাপতি কেবারন নাইডিংয়ের দাবি, গুংজুংয়ে কোন এইচএসডিসি কর্মী কংগ্রেস দলে যোগ দেননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন