মোদীকে হারাব, গর্জন রাহুলের

তিন দিনের সফরে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইওদের একটি অনুষ্ঠানে রাহুল এই অভিযোগ আনেন।

Advertisement

স‌ংবাদ সংস্থা

সিঙ্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৮
Share:

রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।

দেশে শান্তির পরিবেশ বজায় রাখতে কোনও চিন্তা নেই বিজেপির। তারা মেরুকরণের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত। সিঙ্গাপুরে দাঁড়িয়ে এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদীর দলকে নিশানা করলেন রাহুল গাঁধী। বললেন, ‘‘মোদীর সঙ্গে লড়াই করেই আমরা তাঁকে হারাব।’’

Advertisement

তিন দিনের সফরে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় গিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। সিঙ্গাপুরে বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিইওদের একটি অনুষ্ঠানে রাহুল এই অভিযোগ আনেন। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘সমাজে ভারসাম্য রাখাকেই আমরা এত দিন গুরুত্ব দিয়ে এসেছি। কিন্তু বিজেপি শান্তি সম্প্রীতি রাখতে আগ্রহী নয়। মেরুকরণের পরিস্থিতি ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।’’

এই অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গিকেও তুলে ধরেন রাহুল। তাঁর মতে, ‘‘কংগ্রেস এমন পরিবর্তনে আগ্রহী যেখানে সবাইকে নিয়ে চলা যায়।’’ এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে দলকেও যে তিনি ‘নতুন ভাবে’ গড়তে চান, সে কথাও শুনিয়েছেন রাহুল। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে (ইউপিএ-র শেষ দু’বছর) ঝড় এসেছিল। ভেঙে পড়েছিল ব্যবস্থা। পরিণতিও আমরা দেখেছি। কিন্তু এখন আমাদের শ্লেট একেবারে সাফ। নতুন আশা তৈরি হচ্ছে। আমরা কংগ্রেসকে নতুন ভবে গড়তে চাই।’’

Advertisement

সিঙ্গাপুরে লি কউন ইউ স্কুল অব পাব্লিক পলিসি-তে গিয়ে রাহুল মোদীর কাশ্মীর নীতির সমালোচনা করেন। বলেন, ‘‘২০০৪-এ ইউপিএ ক্ষমতায় আসার সময়ে আমাদের হতে তুলে দেওয়া হয়েছিল জ্বলন্ত কাশ্মীরকে। পরে মানুষের সঙ্গে যোগসূত্র গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন মনমোহন সিংহ। কিন্তু ২০১৪ সালে যখন কাশ্মীরে যাই, পরিস্থিতি দেখে কান্না পাচ্ছিল। ভাবছিলাম, বছরের পর বছর ধরে কত খারাপ নীতি নিয়ে এগিয়েছি আমরা।’’ রাহুলের মতে, কাশ্মীর সমস্যার মেটাতে আলোচনা একমাত্র রাস্তা। মোদীকে নিশানা করে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘ভারতের রাজনীতিতে খুবই জঘন্য পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হচ্ছে।’’ এ দিন সিঙ্গাপুরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতি জড়ানো আইএনএ মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধা জানান রাহুল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন