ডেরেক ও’ব্রায়েন। ফাইল চিত্র।
লাল কেল্লাবিতর্ক চরম আকার নিল। মোদী সরকারের জাতীয়তাবাদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেস-তৃণমূলযে রকমসরব, ঠিক সেরকমই পাল্টা সুর চড়াল কেন্দ্র্র। আজ যাঁরা প্রতিবাদে নেমেছেন, তাঁদের অনেকেই কিন্তু লাল কেল্লার রক্ষণাবেক্ষণের ভার বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবেরাজি ছিলেন।
জানা গিয়েছে, দু’মাস আগেই এব্যপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ৩১ জনের সংসদীয় কমিটি। সরকারপক্ষের দাবি, তাতে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা তো ছিলেনই। তার চেয়েও বড় কথা, সেই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। কিন্তু বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ডালমিয়া ভারত গোষ্ঠীর হাতে লাল কেল্লার রক্ষণাবেক্ষণের ভার তুলে দেওয়ার পর ডেরেকই সবচেয়ে বেশি করে নিন্দায় সরব হয়েছেন। শনিবার ডেরেক বলেন, ‘‘এটাই কি অচ্ছে দিন? লাল কেল্লাকে বিক্রি করে দেওয়া হল। এবার হয়ত অন্য সৌধগুলোকেও নিলামে তোলা হবে।’’
রবিবার সরকার পক্ষ সংসদীয় কমিটির দিকে আঙুল তোলায় ডেরেক ও’ব্রায়েন খানিকটা হলেও ব্যকফুটে। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির তরফ থেকে অসত্য প্রচার করা হচ্ছে। যা বলার আমি সংসদীয় কমিটিতেই বলব।’’
আরও পড়ুন: ‘মুখোশ খুলে গিয়েছে মোদীর, ২০১৯-এ জিতছে কংগ্রেসই’
আরও পড়ুন: এ দেশের ‘মধ্যবিত্ত’রা আসলে মধ্যবিত্ত নয়, বলছে ‘পিউ’ স্টাডি
একাংশের দাবি, লাল কেল্লার জল সরবরাহ এবং শৌচালয়ের ব্যবস্থা বেসরকারি হাতে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে পর্যটন মন্ত্রকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে। কিন্তু সম্রাট শাজাহানের স্মৃতি বিজড়িত লাল কেল্লার রক্ষণাবেক্ষণের ভার পুরোপুরি বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে কি ইতিহাসকে সম্মান জানানো হল? প্রশ্নটা ঘুরছে বিভিন্ন মহলে।