Maharashtra Crisis

‘আপনার বাবার নাকের ডগা থেকে বিধায়ক তুলে এনেছি’, উদ্ধব-পুত্রকে খোঁচা বিজেপির ফডণবীসের

একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের প্রসঙ্গ তুলে উপমুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আদিত্যকে বলেন, ‘‘উনি (উদ্ধব) বলেছিলেন, ‘মুম্বইয়ে আগুন জ্বলবে। কিন্তু একটা দেশলাই কাঠিও জ্বলেনি।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১০:৩০
Share:

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আদিত্য ঠাকরেকে আক্রমণ উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের। ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্র বিধানসভায় শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরের আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে কার্যত বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগই স্বীকার করে নিলেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডণবীস। গত জুন মাসে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহের জেরে শিবসেনার ভাঙন এবং আদিত্যের বাবা উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারানোর প্রসঙ্গ তুলে ফডণবীসের মন্তব্য— ‘‘মনে রাখবেন, আপনার বাবার নাকের ডগা থেকে ৫০ জন বিধায়ককে তুলে এনে আমরা সরকার গড়েছি।’’

Advertisement

উদ্ধবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে সমর্থক বিধায়কদের নিয়ে শিন্ডে গুজরাত ঘুরে গিয়েছিলেন অসমে। বিজেপির ‘হেফাজতে’ গুয়াহাটির হোটেলে আশ্রয় নেন তাঁরা। উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা সে সময় বলেছিল, ‘দলত্যাগী, বিশ্বাসঘাতকেরা মুম্বইয়ে ফিরলে গণরোষের শিকার হবেন’। কিন্তু কার্যত বড় ধরনের কোনও অশান্তি ছাড়াই ক্ষমতার হাতবদল হয়। গরিষ্ঠতা হারিয়ে ইস্তফা দেন উদ্ধব।

সেই প্রসঙ্গ তুলে উপমুখ্যমন্ত্রী ফডণবীস শুক্রবার বিধানসভায় উদ্ধব-পুত্র আদিত্যকে বলেন, ‘‘উনি (উদ্ধব) বলেছিলেন, ‘মুম্বইয়ে আগুন জ্বলবে’। কিন্তু একটা দেশলাই কাঠিও জ্বলেনি।’’ প্রসঙ্গত, ফডণবীস ২০১৪-১৯ মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের পর শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ায় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বিদ্রোহী ভাইপো অজিতের সমর্থন নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ফডণবীস। অজিত হয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এনসিপি পরিষদীয় দলে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হয়ে ৮০ ঘণ্টার মধ্যেই ইস্তফা দিতে হয়েছিল তাঁকে। আর বিদ্রোহে ইতি টেনে ফের শরদের শিবিরে ফিরেছিলেন অজিত। এ বার বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে উপমুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ফডণবীসকে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন