জামাত-জঙ্গি শাহনুর আলম ও তার স্ত্রী সুজানাকে আশ্রয় দেওয়া তথা সাহায্য করার অভিযোগ উঠল আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা বিজন মহাজনের বিরুদ্ধে। যদিও বিজনবাবু আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ জেনেছে, সুজানার বাবা জুরমত আলি আদতে বরপেটার বাসিন্দা হলেও হাতিগাঁও এলাকায় মিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। থাকতেন হাতিগাঁওয়ের অনুপম নগরের একটি বাড়িতে। বাড়ির মালিক বিজেপি নেতা বিজন মহাজন। স্থানীয়রা জানান, শাহনুরের স্ত্রী সুজানা ও তাঁর বোন ছোট থেকে ওই বাড়িতেই মানুষ। সুজানার সঙ্গে শাহনুরও সেখানে বহুবার এসেছে।
সুজানার বাবা জানান, বর্ধমান কাণ্ডের পরে গা-ঢাকা দিয়ে বেড়ানো সুজানা ও শাহনুরকে কী ভাবে বাঁচানো যায় তা নিয়ে তিনি মহাজনের সাহায্য চান। মহাজনই দু’জনকে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দেন। সেই মতো সুজানাকে প্রথমে হাতিগাঁওয়ের বাড়িতে এনে, তারপরে পানবাজার থানায় নিয়ে যান জুরমত। পুলিশ অবশ্য পরে দাবি করে, সুজানাকে গুয়াহাটির আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস থেকে ধরা হয়েছে। ডিআইজি (এসবি) হীরেন নাথ জানান, “শাহনুরের শ্বশুর তাকে গুয়াহাটির কোথায় আশ্রয় দিয়েছিলেন, সে ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত নন। এডিজি পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, “বর্তমানে, এই খবরটি আমি স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করছি না।”
বিজনবাবুকে ফোন করলে তিনি বলেন, “সুজানার বাবা আমাদের ওই পারিবারিক জমি ও বাড়িতে চৌকিদার হিসাবে থাকতেন। আমাদের না জানিয়ে তিনি যদি শাহনুরকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে থাকেন তার দায় আমার নয়।” তবে তিনি মেনে নেন, সুজানা ও শাহনুরকে তিনি আত্মসমর্পণের ব্যাপারে আইনি পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তাঁর কথায়, “জুরমত আমার কাছে মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য পেশাগত সাহায্য চেয়েছিল। আমি সাহায্য করেছি। পেশার খাতিরে আমায় মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হতেই পারে। তবে কী সাহায্য করেছি বা পরামর্শ দিয়েছি তা এভিডেন্স অ্যাক্টের ১২৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী বলা উচিত হবে না।”