Society

দণ্ড সংহিতায় মহিলা ‘বস’কে ছাড় কেন? সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রশ্ন তুললেন বিজেপিরই সাংসদ

চাকরি দেওয়ার নাম করে কিংবা চাকরিতে পদোন্নতির লোভ দেখিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রায়শই সামনে আসে।

Advertisement

অনমিত্র সেনগুপ্ত

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:৫৯
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

পুরুষ ‘বস’ চাকরি দেওয়ার অছিলায় কিংবা পদোন্নতির লোভ দেখিয়ে মহিলা কর্মীদের যৌন নির্যাতন করলে কড়া ব্যবস্থার সুপারিশ রয়েছে নতুন দণ্ড সংহিতায়। কিন্তু মহিলা ‘বস’ যদি ওই দোষে দুষ্ট হন, সে ক্ষেত্রে কী হবে? আজ দণ্ড সংহিতা বিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে এই প্রশ্ন তুললেন বিজেপি সাংসদ নীরজশেখর। সাংসদদের পরামর্শ, পুরুষ বা নারী নয়, লিঙ্গ নির্বিশেষে একই শাস্তি দেওয়া হোক এমন ‘বস’-দের।

Advertisement

চাকরি দেওয়ার নাম করে কিংবা চাকরিতে পদোন্নতির লোভ দেখিয়ে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রায়শই সামনে আসে। সরকারি বা বেসরকারি, প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ ধরনের যৌন উৎপীড়নের স্বীকার মূলত হন মহিলারাই। সেই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের আনা দণ্ড সংহিতা বিলে এ ধরনের (পুরুষ) ‘বস’-দের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল। দোষী প্রমাণিত হলে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি দশ বছরের কারাদণ্ডের সুপারিশও আছে এই নতুন দণ্ড সংহিতায়।

‘‘কিন্তু মহিলা বস যদি অধস্তন পুরুষ কর্মীর যৌন নির্যাতন করেন, সে ক্ষেত্রে কী হবে?’’ সূত্রের মতে, আজ দণ্ড সংহিতা বিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে আলোচনার সময়ে এই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি সাংসদ নীরজশেখর। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখরের ছেলে নীরজ জানতে চান, ‘বস’ যদি মহিলা হন এবং তাঁর বিরুদ্ধে যদি যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে সে ক্ষেত্রে সাজার কী ব্যবস্থা থাকছে? তাঁকে সমর্থন করেন দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক সাংসদ। দিলীপ-নীরজদের মতে, সময় বদলাচ্ছে দ্রুত। বহু সংস্থার সিইও এখন মহিলা। তা হলে কেন অভিযোগের তির কেবল পুরুষদের দিকে উঠবে? কেন ছাড় পাবেন মহিলা ‘বস’-রা? সাংসদদের পরামর্শ, চাকরি ক্ষেত্রে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যদি মহিলারা দোষী সাব্যস্ত হন, তা হলে লিঙ্গ বিচার না করে সমান শাস্তি দেওয়া হোক।

Advertisement

এ দিকে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিরোধীরা যে বক্তব্য রাখছেন, তা বৈঠকের কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত করা হচ্ছে না বলে স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলালের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন ওই কমিটির সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, গত মাসে কমিটির যে বৈঠক হয়েছিল, তাতে ডিএমকে সাংসদ দয়ানিধি মারান একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। চিঠিও লিখেছিলেন চেয়ারম্যানকে। সূত্রের মতে, ডেরেকের অভিযোগ, দয়ানিধির সেই বিবৃতি বা চিঠির বিষয়টি স্থায়ী কমিটির কার্যবিবরণীতে কোথাও উল্লিখিত নেই। সূত্রের খবর, স্থায়ী কমিটির সামনে যে বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়েছে, তাঁদের সব পক্ষের কাছ থেকে ইনপুট নেওয়ার জন্য সওয়াল করেছেন ডেরেক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন