বিতর্কের কেন্দ্রে থাকতেই বোধহয় ভালোবাসেন তিনি। তাই মুজফ্ফরপুরে নরেন্দ্র মোদীর সভার আশপাশে না থাকলেও আজ নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করে ফেললেন ‘বিহারিবাবু’ ওরফে শত্রুঘ্ন সিন্হা। তাতে পটনার রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
দলের কিছু কাজকর্ম নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই অসন্তুষ্ট পটনা সাহিবের বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন। পটনায় অমিত শাহের সভায় তাঁকে ডাকাও হয়নি বলে দাবি বিহারিবাবুর। আবার বিহারে সাম্প্রতিক বিধান পরিষদ নির্বাচনে বিজেপির জয়কে গুরুত্ব না দিয়ে লালু-নীতীশকে অনেক বড় নেতা বলেছিলেন শত্রুঘ্ন। ফলে, বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কিছুটা বেড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকেরা।
আজ পটনায় মোদীর প্রথম অনুষ্ঠানে ছিলেন শত্রুঘ্ন। কিন্তু মুজফ্ফরপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার আশপাশে দেখা যায়নি পটনা সাহিবের সাংসদকে। জেডিইউ সূত্রে খবর, ওই মঞ্চেই নীতীশের সঙ্গে রাজনৈতিক খেলার একটি চাল দিয়েছে বিজেপি। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর একদা ঘনিষ্ঠ নেতা এন কে সিংহকে বসানো হয়েছিল মোদীর মঞ্চে। এক সময়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রিন্সিপ্যাল সচিব ছিলেন এন কে সিংহ। পরে নীতীশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় তাঁর। ২০০৮ সালে জেডিইউয়ের টিকিটে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে মোদী-হাওয়ার সময়ে ভিড়ে যান বিজেপিতে।
এ হেন এন কে সিংহকে মোদীর মঞ্চে বসিয়ে বিজেপি নীতীশের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে চেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। জেডিইউ নেতাদের দাবি, তাই শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে দেখা করেছেন নীতীশ। বোঝাতে চেয়েছেন যে, বিজেপির মধ্যেও এমন কেউ থাকতে পারেন যাঁকে তিনি দলে টানতে পারেন। উৎসাহী ছিলেন শত্রুঘ্নও। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এসে দেখা করেন তিনি। সাক্ষাতের পরে শত্রুঘ্ন জানিয়েছেন, নীতীশকে তিনি রাজ্যের অভিভাবক বলে মনে করেন। উন্নয়ন নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললে তাতে রাজনীতির গন্ধ খোঁজা ঠিক নয়। বিহারিবাবুর কথায়, ‘‘প্রধানমন্ত্রীই তো বলে গেলেন যে রাজনীতিতে অস্পৃশ্যতা থাকা উচিত নয়।’’
তাঁর সঙ্গে কি দলের দূরত্ব বাড়ছে?
শত্রুঘ্ন জানাচ্ছেন, একেবারেই নয়। পটনায় মোদীর প্রথম অনুষ্ঠানে তো তিনি ছিলেন। তাহলে এ সব জল্পনা আসছে কোথা থেকে।
মুজফ্ফরপুরের সভায় ছিলেন না কেন?
বিহারিবাবুর জবাব, ‘‘আমন্ত্রণ পাই নি তাই।’’