সংগঠনে আলোচনা করে দলের জেলা সভাপতি নির্বাচনের বিষয়ে পর্যালোচনা করলেন বিজেপির প্রদেশ নেতারা। হাইলাকান্দিতে জেলা বিজেপি সভাপতি নির্বাচন ঘিরে টানাপড়েন চলছে। জেলার ৭টি মণ্ডল কমিটির নেতারা জেলা সভাপতি নির্বাচনের প্রশ্নে একমত হতে পারেননি। সমাধানসূত্র খুঁজতে হাইলাকান্দিতে এসেছেন দলের প্রদেশ সাংগঠনিক সম্পাদক ফণী শর্মা, বরাক উপত্যকার দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যভূষণ দে, প্রদেশ মুখপাত্র জয়ন্তমল্ল বড়ুয়া। গত সন্ধেয় তাঁরা হাইলাকান্দিতে পৌঁছন। জেলা ও মণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেছেন। তবে এ নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন প্রদেশ সম্পাদক ফণী শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘দলের সাংগঠনিক খুঁটিনাটি নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মণ্ডল কমিটিগুলির সদস্যদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’’ তবে জেলা সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়নি বলে ফণীবাবু দাবি করেন।
আজ সকাল থেকে হাইলাকান্দির রবীন্দ্র ভবনে দফায় দফায় বিভিন্ন মণ্ডল কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রদেশ বিজেপি নেতারা। সকাল ১০টায় লালা, কাটলিছড়া, মণিপুর ও তাপাং মণ্ডলের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা করেন। বিকেল ৩টে থেকে হাইলাকান্দি শহর মণ্ডল, হাইলাকান্দি ব্লক মণ্ডল এবং আলগাপুর মণ্ডলের নেতাদের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তা হয়।
দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সভাপতি নির্বাচনের সঙ্গে এ দিনের আলোচ্যসূচির সম্পর্ক নেই।’’ তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলে জেলাস্তরের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘সভাপতি নির্বাচনের বিষয়টিই আলোচ্যসূচির মূল বিষয়। এ নিয়েই বিভিন্ন মণ্ডলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের মনের কথা বোঝার চেষ্টা করছেন।’’ ওই নেতারা গুয়াহাটি ফিরে যাওয়ার পরই হাইলাকান্দির জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে বলে তিনি মন্তব্য জানান।দলীয় সূত্রে খবর, হাইলাকান্দিতে বর্তমানে জেলা সভাপতির দৌঁড়ে রয়েছেন সৈকত দত্ত চৌধুরী, জওহর নাথ। এ নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। অবশ্য সৈকত-শিবির কিছুটা এগিয়ে রয়েছে বলে আভাস মিলেছে।
কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দুই শিবিরের কাউকেই জেলা সভাপতি করতে ইচ্ছুক নন রাজ্য নেতৃত্ব। তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে বিজেপির একাধিক নেতার কথায়। তাঁরা চাইছেন তৃতীয় কোনও ব্যক্তিকে সভাপতি করতে। ওই তালিকায় কয়েক জনের নাম রয়েছে।