পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। বুধবার ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে রাজ্যের দু’টি আসন মুঙ্গারেলি ও কোলারস কংগ্রেসের হাতে এসেছে। আর এই জয়কে ‘পরিবর্তনের হাওয়া’ হিসেবে দেখতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার টুইট করে রাহুল বলেছেন, রাজস্থান এবং এখন মধ্যপ্রদেশের ফল দেখিয়ে দিল পরিবর্তনের হাওয়া আসছে। পাশাপাশি, জয়ের জন্য দলীয় কর্মী-সমর্থকদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।
উপনির্বাচনের ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, মুঙ্গারেলিতে ২,১২৪ ভোটে জিতেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ব্রিজেন্দ্র সিংহ যাদব। কোলারসে প্রায় ৮ হাজার ভোটে বিজেপিকে হারিয়েছে কংগ্রেস। কিছু দিন আগে বিজেপি-শাসিত আর এক রাজ্য রাজস্থানের উপনির্বাচনেও বিজেপিকে হারিয়ে দিয়েছিল রাহুল গাঁধীর দল। ফল প্রকাশের পর এ দিন কংগ্রেস সভাপতি টুইটারে লিখেছেন, অপশাসন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মুঙ্গারেলি ও কোলারস— মধ্যপ্রদেশের এই দু’টি কেন্দ্রই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার লোকসভা কেন্দ্র গুণা-র মধ্যে পড়ে। আর আসনগুলিও হাতে ছিল কংগ্রেসের। তাই রাজ্যে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার জ্যোতিরাদিত্যের কাছে এই ভোট ছিল সম্মানের লড়াই। এই ভোটকে তাই তাঁর এবং মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের লড়াই হিসেবে তুলে ধরেছিলেন সিন্ধিয়া। দুই কেন্দ্রে ১৫টি রোড শো, ৭৫টি জনসভা করে হাওয়া গরম করে দিয়েছিলেন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শিবরাজও। ১০টি রোড শো, ৪০টি জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে রাজ্যের ১৮ জন মন্ত্রী। তবে শেষ রক্ষা হল না। অনেকেই বলছেন, ভোটের প্রচারে মাধবরাও ও বসুন্ধরা রাজের বোন এবং রাজ্যের মন্ত্রী যশোধরা রাজে সিন্ধিয়ার মন্তব্যও ভোটারদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। কংগ্রেসকে ভোট দিলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রান্নার গ্যাস কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেসের দাবি, ভোটাররা বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচনে ফের বড় ধাক্কা খেল বিজেপি