বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র জাংরা। ছবি: সংগৃহীত।
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার সময় উপস্থিত মহিলা পর্যটকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ বার বিতর্কে জড়ালেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রামচন্দ্র জাংরা। তাঁর মতে, জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করা উচিত ছিল মহিলাদের। তা হলে হতাহতের সংখ্যা আরও কম হত বলে মনে করেন তিনি! রামচন্দ্রের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ইতিমধ্যেই আসরে নেমেছেন বিরোধীরা।
এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজেপি সাংসদ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনার দিনের কথা স্মরণ করেন। সেই কথা বলতে গিয়েই তিনি টেনে আনেন রানি লক্ষ্মীবাঈ, রানি অহল্যাবাঈ হোলকরের প্রসঙ্গ। রামচন্দ্রের কথায়, ‘‘পহেলগাঁওয়ে মহিলা পর্যটকদের লড়াই করা উচিত ছিল। আমার বিশ্বাস তাঁরা যদি জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করতেন তবে হতাহতের সংখ্যা কম হত।’’ তিনি কেন্দ্রে ‘অগ্নিবীর’ প্রকল্পের উপরেও জোর দেন। তাঁর কথায়, ‘‘যদি সব পর্যটক অগ্নিবীর হতেন, তবে তাঁরা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে পারতেন। আমাদের দেশের বোনেদের অহল্যাবাঈ বা ঝাঁসির রানি লক্ষীবাঈয়ের মতো সাহসিকতা, চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।’’
পহলেগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় কেউ স্বামী হারিয়েছেন, কেউ সন্তান, কেউ আবার বাবা! সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছেন অনেকেই। মোদী সরকার পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছে। গোটা দেশ স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই আবহে হরিয়ানার বিজেপি সাংসদের এ ধরনের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
রোহতকের কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র হুডা বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় স্বামী হারানো নারীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছেন বিজেপি সাংসদ। এটি লজ্জাজনক এবং অপমানজনক।
দিন কয়েক আগেই ভারতীয় সেনা অফিসার কর্নেল সোফিয়া কুরেশির উদ্দেশে কুমন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ! সোফিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদীদের বোন’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। বিতর্কের মুখে পড়ে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান তিনি। কিন্তু তাতে রেহাই মেলেনি। সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পড়েন মধ্যপ্রদেশের ওই মন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো ইতিমধ্যেই কর্নেল সোফিয়া প্রসঙ্গে কুমন্তব্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। সেই আবহে এ বার বিজেপির আর এক নেতা পহেলগাঁও নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন।