পিডিপি-বিজেপি জোট গড়ার পরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম কাশ্মীর সফর। উপত্যকায় শান্তি ফেরানোর ব্যাপারে হুরিয়তের সঙ্গে আলোচনায় বসতে নারাজ কেন্দ্র যখন অনড় মনোভাব নিয়েছে, সে সময় বিজেপি সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ এই সফরে কিছুটা নরম অবস্থান নেবেন বলেই আশা ছিল বিভিন্ন মহলের। সে ক্ষেত্রে উপত্যকায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়া চালু হওয়ার একটি পরিস্থিতি তৈরি হতো।
কিন্তু অমিত শাহ সে পথেই হাঁটলেন না। উল্টে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পরে বার্তা দিলেন, জাতীয়তাবাদ আগে। সরকার পরে। অর্থাৎ জাতীয়তাবাদের প্রশ্নে কোনও আপসে যাবে না তাঁর দল বা সরকার। এই মন্তব্যকে এক দিকে জোট-সঙ্গী পিডিপি সরকারের উপর থেকে বিজেপির সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রাথমিক ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতারা। তেমনই শুরুতেই জাতীয়তাবাদের কথা বলে সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশ মেনেই যে বিজেপি চলবে, কর্মীদের সেই বার্তাও দিয়ে রাখলেন বিজেপি সভাপতি।
আরও পড়ুন: দাউদ অসুস্থ! তোলপাড় দিল্লি
কাশ্মীরে এই প্রথম জোট গড়ে সরকার চালাচ্ছে পিডিপি-বিজেপি। কিন্তু গত বছর হিজবুল কম্যান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে উপত্যকা সেই যে অশান্ত হয়েছে, তা থামার লক্ষণ নেই। এ বছরেও গরম পড়তেই পথে নেমেছেন বিক্ষুব্ধরা। এই পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহে দিল্লি এসে বিচ্ছিন্নতাবাদী, মূলত হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। কিন্তু তাতে আপত্তি সঙ্ঘ পরিবারের।
এই প্রেক্ষিতে আজ জম্মু সফরে এসে অমিত শাহ জাতীয়তাবাদের পক্ষে সওয়াল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের সঙ্গে কোনও ভাবেই সমঝোতায় যাবে না কেন্দ্র। পিডিপি বুঝতে পারছে, বিজেপির লক্ষ্যই হল আগামী দিনে তাদের সঙ্গে সংঘাত আরও বাড়িয়ে তোলা। যাতে জোট ভাঙতে বাধ্য হয় পিডিপি।