দলে সাবির, ক্ষোভ বিহার বিজেপিতে

সংখ্যালঘু ভোট বড় বালাই! বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তাই বিহারের দলীয় নেতৃত্বের ‘আপত্তি’ উড়িয়ে জেডিইউয়ের প্রাক্তন মুখপাত্র সাবির আলিকে ফের দলে নিল বিজেপি। আজ সকালে পটনায় প্রদেশ বিজেপি দফতরে দলের সাধারণ সম্পাদক তথা বিহারের পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব এবং রাজ্য শাখার সহ-সভাপতি সঞ্জয় ময়ূখের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন সাবির। ভূপেন্দ্র বলেন, ‘‘এতে বিহারে এনডিএ জোট শক্তিশালী হবে।’’

Advertisement

দিবাকর রায়

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৫ ০৩:৫০
Share:

সাবির আলি

Advertisement

সংখ্যালঘু ভোট বড় বালাই!

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তাই বিহারের দলীয় নেতৃত্বের ‘আপত্তি’ উড়িয়ে জেডিইউয়ের প্রাক্তন মুখপাত্র সাবির আলিকে ফের দলে নিল বিজেপি। আজ সকালে পটনায় প্রদেশ বিজেপি দফতরে দলের সাধারণ সম্পাদক তথা বিহারের পর্যবেক্ষক ভূপেন্দ্র যাদব এবং রাজ্য শাখার সহ-সভাপতি সঞ্জয় ময়ূখের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন সাবির। ভূপেন্দ্র বলেন, ‘‘এতে বিহারে এনডিএ জোট শক্তিশালী হবে।’’

লোকসভা ভোটের আগে ২০১৪ সালের ২৮ মার্চ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার জন্য বিজেপির সদস্যপদ পেয়েছিলেন সাবির। সেই সময় তাঁকে সদস্যপদ দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখতার আব্বাস নকভি, শাহনওয়াজ হুসেন-রা। কারণ বরাবরই সাবিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লিতে বসে তিনি ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এবং দাউদ ইব্রাহিমের হয়ে কাজ করেন। নকভি টুইট করেছিলেন, ‘‘জঙ্গি ভটকলের বন্ধু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এ বার দাউদও আসবে!’’ নকভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন সাবির। পরে যদিও তিনি মামলাটি তুলে নেন। তবে এ সবের জেরে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সাবিরের সদস্যপদ বাতিল করে দেন তৎকালীন সভাপতি রাজনাথ সিংহ। নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপে আর দলে নেওয়া হয়নি সাবিরকে।

কিন্তু ছবিটা বদলাল দেড় বছরেই।

কেন? ভূপেন্দ্রর জবাব, ‘‘সব সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’ কী ভাবে মিটল তা নিয়ে একটি বাক্যও খরচ করেননি তিনি। তবে রাজ্য বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘‘বিহারে সংখ্যালঘু নেতা হিসেবে শাহনওয়াজ হুসেন রয়েছেন। কিন্তু বেশির ভাগ সময় তিনি দিল্লিতে থাকেন। বিহারে সংখ্যালঘু শ্রেণির মধ্যে শাহনওয়াজের তেমন প্রভাবও নেই। সেখানে সাবির আলির গ্রহণযোগ্যতা অন্যদের থেকে বেশি।’’

রাজনীতিকদের একাংশের বক্তব্য, লালু-নীতীশ জোটকে হারাতে সব অস্ত্র হাতে রাখতে চায় বিজেপি। বিহারে নীতীশ-বিরোধী শক্তিগুলিকে এক ছাতার নীচে আনতে তাই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মাঁঝিকে এনডিএ জোটে সামিল করে মহাদলিত ভোটের অনেকটাই সুরক্ষিত করা গিয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। একই ভাবে সাবিরকে দলে টেনে সংখ্যালঘু ভোটের হাওয়া নিজেদের পালে আনতে চাইছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement