Karnataka Assembly Election 2023

প্রধানমন্ত্রীর সফরের মধ্যেই ‘আমূল’ পরিবর্তন কর্নাটকে, বিজেপির দাবি, সবটাই কংগ্রেসের অপপ্রচার

দুধ নিয়ে চরমে উঠেছে কর্নাটকের কাজিয়া। এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। হ্যাশট্যাগ দিয়ে বয়কট আমূল এবং গো ব্যাক আমূল ট্রেন্ড চালানো হয় টুইটারে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কর্নাটক শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ ০১:৪২
Share:

১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের আগে দুধ নিয়ে চরমে উঠেছে কর্নাটকের কাজিয়া। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

‘আমূল’ কর্নাটকে ব্যবসা করতে ঢুকছে না। গোটাটাই কংগ্রেসের অপপ্রচার। দক্ষিণের রাজ্যে ভোটের মুখে বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ‘কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন’ (কেএমএফ) এবং আমূল মোটেই এক ছাতার তলায় আসছে না। শুধু তা-ই নয়, কেএমএফ-এর ব্যবসাও বেড়েছে তাদের আমলেই।

Advertisement

গোলমালের সূত্রপাত, গুজরাতের আমূল দুগ্ধ সংস্থার একটি বিজ্ঞাপন। তাতে আমূল জানিয়েছিল, তারা বেঙ্গালুরুতে অনলাইনে দুধের ডেলিভারি শুরু করতে চলেছে। এতে সিঁদুরে মেঘ দেখে কর্নাটকের নিজস্ব দুগ্ধ সংস্থা ‘কর্নাটক মিল্ক ফেডারেশন’। তাদেরই একটি ব্র্যান্ড ‘নন্দিনী’ কর্নাটক জুড়ে ব্যাপক ব্যবসা করে। কংগ্রেস, জেডিএস অভিযোগ করে, গুজরাতের দুগ্ধ প্রস্তুতকারক সংস্থা আমূলকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে নন্দিনীকে আমূলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি।

তার প্রেক্ষিতেই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় টুইটে লিখেছেন, “আমূল কর্নাটকে প্রবেশ করছে না। আমূল এবং কেএমএফ উভয়ই তাদের পণ্য বিক্রি করে। ২০১৯ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর কেএমএফ-এর বার্ষিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২২ সালে তাদের আয় হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। যার মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা কর্নাটকের কৃষকদের দেওয়া হয়েছে। মালবীয়ের সংযোজন, “ভারতবাসী কংগ্রেসকে বিশ্বাস না করার কারণ, ওরা মিথ্যাচার করে! ওদের সর্বশেষ অপপ্রচার, আমূলকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে নন্দিনীকে আমূলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে বিজেপি।”

Advertisement

টুইটারে বিজেপি নেতার আরও দাবি, “কেএমএফের মোট বিক্রির ১৫ শতাংশ আসে কর্নাটকের বাইরে পণ্য বিক্রি করে। সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী-সহ বিভিন্ন দেশে তাদের পণ্য রফতানি করা হয়।”

আগামী ১০ মে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। তার আগে দুধ নিয়ে চরমে উঠেছে কর্নাটকের কাজিয়া। এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। হ্যাশট্যাগ দিয়ে বয়কট আমূল এবং গো ব্যাক আমূল ট্রেন্ড চালানো হয় টুইটারে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁরা যেন আমূলের তৈরি সমস্ত পণ্য বয়কট করেন।

তিনি বলেন, “হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে হিন্দি আগ্রাসনের পর এ বার বিজেপি সরকার দুগ্ধ ব্যবসাকেও গুজরাতের সংস্থার হাতে তুলে দিতে চাইছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের খাবারের জোগান দেয় নন্দিনী। গুজরাতের সংস্থাকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিলে ওই মানুষগুলি কী করবেন!” এ বার পাল্টা জবাব দিল বিজেপিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন