Congress

মায়াবতীকে তোপ ‘ইন্দিরার নাতনি’র

মায়াবতী ইদানীং বিজেপির দিকে ঝুঁকলেও রাহুল বা সনিয়া গাঁধী তাঁকে সরাসরি আক্রমণ করেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২০ ০৫:১৯
Share:

মায়াবতীকে কটাক্ষ প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর। —ফাইল চিত্র

বেশ কিছু দিন ধরেই ‘বহেনজি’ মায়াবতী বিজেপির সম্পর্কে নরম সুর নিয়ে চলছেন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা আজ নাম না-করে তাঁকে ‘বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র’ বলে আক্রমণ করলেন। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় একাধিক দফতর প্রিয়ঙ্কার বিরুদ্ধে সক্রিয়। তাতে তিনি পিছু হটবেন না বলে জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি ইন্দিরা গাঁধীর নাতনি। কিছু বিরোধী নেতা-নেত্রীর মতো বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র নই।’’

Advertisement

মায়াবতী ইদানীং বিজেপির দিকে ঝুঁকলেও রাহুল বা সনিয়া গাঁধী তাঁকে সরাসরি আক্রমণ করেননি। আবার মায়াবতীও গাঁধী পরিবারকে বাদ দিয়েই কংগ্রেসের সমালোচনা করেছেন। লাদাখে চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে গত সপ্তাহে মায়াবতী বলেন, ‘‘দেশের লোক নিশ্চিত যে, কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সম্মান অক্ষত রাখতে ঠিক সিদ্ধান্তই নেবে। কাউকে দেশের এক ইঞ্চি জমি দখল করতে দেবে না।’’ প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও মায়াবতী একই সুর নিয়েছিলেন। পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরাহার প্রশ্নেও যোগী সরকারেরও প্রশংসা করেছেন মায়াবতী। উল্টো দিকে প্রিয়ঙ্কা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বাস জোগাড়ে উদ্যোগী হলে তাকে ‘রাজনৈতিক চাল’ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। প্রিয়ঙ্কাই প্রথম গাঁধী পরিবারের সদস্য, যিনি আজ মায়াবতীকে নিশানা করলেন।

সম্প্রতি আগরার জেলা প্রশাসন প্রিয়ঙ্কাকে আগরায় বিপুল সংখ্যায় করোনা-মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বলে। কানপুরের একটি মেয়েদের হোমের অব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তোলায় রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছে। জবাবে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘সত্যিটা বলাই আমার দায়িত্ব। সরকারের প্রচার করা নয়। উত্তরপ্রদেশ সরকার আমাকে হুমকি দিয়ে সময় নষ্ট করছে। ওরা যা খুশি করে নিক, আমি সত্যিটা বলবই। আমি ইন্দিরা গাঁধীর নাতনি, কিছু বিরোধী নেতা-নেত্রীর মতো বিজেপির অঘোষিত মুখপাত্র নই।’’

Advertisement

উত্তরপ্রদেশে ২০২২-এর বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস যে প্রিয়ঙ্কাকেই মুখ করে ভোটে যাবে, তা মোটামুটি স্পষ্ট। অখিলেশ যাদব জানিয়ে দিয়েছেন, সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস বা মায়াবতীর সঙ্গে সমঝোতার কথা ভাবছে না। তাই প্রিয়ঙ্কা কংগ্রেসকেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। কিন্তু বিজেপি নেতারা এখনও তাঁকে ‘টুইটার-ওয়ালি নেতা’ বলে নস্যাৎ করে দেন। যদিও কংগ্রেস নেতাদের যুক্তি, বিজেপি যা-ই বলুক, প্রিয়ঙ্কা ও উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ সভাপতি অজয়কুমার লাল্লুর যুগলবন্দিতে কংগ্রেস এখন রাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলেই যোগী প্রথমে অজয়কে জেলে পুরেছে। এখন প্রিয়ঙ্কাকে নোটিস পাঠাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন