শিখ দাঙ্গা নিয়ে সরব বিজেপি

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩২
Share:

মনমোহন সিংহের বক্তব্য তুলে ধরে রাজীব গাঁধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল বিজেপি।

সামনেই দিল্লির ভোট। তার আগে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ আচমকাই তুলেছেন শিখ-দাঙ্গার কথা। রাজীব গাঁধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর এমন সুযোগ হাতছাড়া করছে না বিজেপি।

Advertisement

প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালের জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান হয়েছে কাল। মনমোহন সেখানেই বলেন, ১৯৮৪ সালে শিখ নিধন রোখা যেত, যদি সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরসিংহ রাও সেনা নামানোর প্রস্তাব মেনে নিতেন। ইন্দিরা গাঁধী হত্যার পর পরিস্থিতি দেখে বিচলিত ইন্দ্রকুমার গুজরাল, মনমোহনের কথায়, নরসিংহ রাওয়ের বাড়ি গিয়ে সেনা নামানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

আপাত ভাবে মনমোহনের অভিযোগ নরসিংহ রাওয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু দিল্লি ভোটের আগে মনমোহনের মন্তব্য লুফে নিল বিজেপি। সকালে আসরে নামানো হল বিজেপিতে যোগ দেওয়া নরসিংহ রাওয়ের নাতি এন ভি সুভাষকে। তিনি বললেন। সংসদ চলার সময় মোদী সরকারের মন্ত্রীরা বললেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিল্লি বিজেপির নেতারা বললেন। সকলের এক কথা—নরসিংহ রাওয়ের দোষ কোথায়? ইন্দিরা হত্যার পর সেদিনই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন রাজীব গাঁধী! দোষ তাঁর!

Advertisement

সুভাষ দাবি করেছেন, ‘‘ক্ষমা চাইতে হবে মনমোহনকে। নরসিংহ রাওয়ের বদলে তিনি দায়ী করুন রাজীব গাঁধীকে। মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে রাজীব সেনা নামাতে পারতেন।’’ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের মতে, ‘‘সেনা পাঠানোর অধিকার কোথায় ছিল নরসিংহ রাওয়ের? এ তো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজীব গাঁধীর দায়িত্ব ছিল। কিন্তু সেই রাজীব গাঁধীই তো পরে বলেছিলেন, বড় গাছ পড়লে পৃথিবী একটু কাঁপে। আর নরসিংহ রাও এতই খারাপ হলে কেন তাঁর অধীনে পরে মন্ত্রী হলেন মনমোহন?’’ রাজীবের সেই বিতর্কিত ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে নতুন করে ছড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

চুপ কংগ্রেস। সংসদ চত্বরে মনমোহনকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘‘নরসিংহ রাওয়ের নাতি আপনাকে ক্ষমা চাইতে বলছেন। কিছু বলবেন?’’ মন্তব্য না করে চলে যান মনমোহন। কংগ্রেস নেতারা ঘরোয়া ভাবে বলছেন, মনমোহন কিছু ভুল বলেননি। তবে এখন না বললেই পারতেন! গাঁধী পরিবারকে আড়াল করতে চাইলে অন্য কথা। কিন্তু বিজেপি যে সহজে ছাড়বে না, সেটি কি তিনি বোঝেননি?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন