সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পুরনো দাবিকে এখন আর সে ভাবে তুলে ধরা যাচ্ছে না। সরকারে থাকতে গিয়ে কার্যত দূরত্ব রাখতে হচ্ছে দীর্ঘদিনের আদর্শগত অবস্থান থেকে। আর সে জন্যই কাশ্মীরের নির্বাচনে বিতর্ক এড়াতে আপাতত ইস্তাহার ছাড়াই ময়দানে নামতে হচ্ছে বিজেপিকে।
মঙ্গলবার রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। অথচ আজ রাত পর্যন্ত ইস্তাহার প্রকাশ হয়নি বিজেপির। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব ৩৭০ অনুচ্ছেদের কথা তুলে ধরে ইস্তাহার ছাপিয়ে ফেলেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত তা প্রকাশিত হয়নি। প্রথমে ঠিক হয়, ১৫ নভেম্বর ইস্তাহার প্রকাশ করা হবে। তার পরে আবার ২০ তারিখে প্রকাশ করার কথা হয়। তবে ভোটের দিন এসে গেলেও বিজেপির ইস্তাহার দিনের আলো দেখেনি। পরের দফার ভোটে দল কী করে, সেটাই দেখার।
কেন এই দ্বিধা? বিজেপি সূত্রের মতে, দিল্লিতে সরকারে থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ করা নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া সম্ভব নয়। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের মন্তব্য, “৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রশ্নটি একটি জাতীয় বিষয়। এ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে বিধানসভার ভোটে উন্নয়ন আর সরকার পরিচালনাই হল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” বোঝাই যাচ্ছে কেন নির্বাচনী প্রচারেও এই বিষয়কে জোরালো ভাবে তুলে ধরা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপিকে নিশানা করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপি জম্মুতে এক কথা বলে, কাশ্মীরে বলে অন্য কথা। আশা করি নরেন্দ্র মোদী এ নিয়ে স্পষ্ট অবস্থান জানাবেন।” তবে মোদী বলুন না বলুন, তাঁর দলেরই নেতা শাহনওয়াজ হুসেনের মন্তব্য, “আমরা এই বিষয়কে ত্যাগ করিনি, দূরে সরিয়েও রাখিনি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে উন্নয়নই মূল কথা।” কেন্দ্রীয় নেতারা যা-ই দাবি করুন না কেন, গোটা ঘটনায় রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাই অস্বস্তিতে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী ৬ ডিসেম্বর শ্রীনগরে জনসভা করবেন। তিনি কাশ্মীরে গিয়ে কী বলেন, সবাই সে দিকেই তাকিয়ে।
মঙ্গলবার থেকে কাশ্মীরে ভোট। পাঁচ পর্বের ভোট শেষ হচ্ছে২০ ডিসেম্বর।