ছবি: সংগৃহীত।
বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে তারা। লিফলেট, বক্তৃতা— সবেতেই গেরুয়াবাহিনীর মুন্ডুপাত করছে। তবু সেই প্রগতিশীল পুর পরিষদই এখন বিজেপির তুরুপের তাস। মনেপ্রাণে চাইছে, এরা আর একটু শক্তিশালী হোক। তারা ভোট কাটবে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের বরাবর হয়ে উঠলে তাতে শিলচর পুরসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ে বিজেপির ফিরে আসা কেউ আটকাতে পারবে না। ওই একই সূত্রে বিজেপি এগিয়ে থাকবে বিধানসভা নির্বাচনেও। প্রগতিশীল পুর পরিষদ আসলে কংগ্রেসেরই সংগঠন। আগে কংগ্রেস পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত না। পরিষদের ব্যানারে প্রার্থী দিয়ে অরাজনৈতিক লড়াইয়ের আহ্বান জানাত। দু’দশক ধরে সূত্র বদলে কংগ্রেস নিজস্ব ব্যানারে লড়তে থাকে। দু’দশক আগের পরিষদ কর্তারাই এখন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসি। নতুন করে পরিষদ পুনর্গঠন করেছেন তাঁরা। সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বকে তাঁরা মানতে নারাজ। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ২০২০-র পুর-নির্বাচনে সব ক’টি আসনে প্রার্থী দেবে পরিষদ। গেরুয়াবাহিনী তাদেরকেই এ বার বড় মিত্র বলে মনে করছে। সুস্মিতা তাদের নিয়ে মন্তব্যে নারাজ।