BJP

গুজরাতে বিজেপি টিকিটই দেবে না অনেক বিধায়ককে

বিজেপি সূত্রের মতে, সৌরাষ্ট্র এলাকায় (রাজকোট, জামনগর, সোমনাথ, দ্বারকা, জুনাগড়)-র নতুন মুখ দেওয়ার কথা ভাবছে দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫৮
Share:

ফাইল ছবি

গত কাল ভোট ঘোষণা হয়েছে হিমাচলপ্রদেশে। আর আজ থেকেই ওই রাজ্যে প্রচারে নেমে পড়লেন অমিত শাহ। আজ সিরমৌর এলাকায় একটি জনসভায় ওই রাজ্যের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হলেন তিনি। অন্য দিকে গুজরাতে প্রতিষ্ঠানবিরোধিতার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু বিধায়ককে টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। বিজেপি সূত্রের মতে, সৌরাষ্ট্র এলাকায় (রাজকোট, জামনগর, সোমনাথ, দ্বারকা, জুনাগড়)-র নতুন মুখ দেওয়ার কথা ভাবছে দল।

Advertisement

কেরলের মতো হিমাচলপ্রদেশে সাধারণত প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ভোটে সরকার বদলের নজির রয়েছে। যদিও ব্যতিক্রম ২০১৭। পরপর দু’বার ওই রাজ্যে সরকার গড়ে বিজেপি। এই ১০ বছরে সরকারের বিরুদ্ধে আমজনতার যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এ-ও বুঝতে পারছেন, মানুষের সেই ক্ষোভকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস। তাই আজ হিমাচলে সরকার গড়ার ডাক দেওয়ার পাশাপাশি ওই রাজ্যে বিভাজন ঘটানোর অভিযোগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শাহ।

সম্প্রতি ওই রাজ্যের হাতি সম্প্রদায় জনজাতি শ্রেণির মর্যাদা পায়। তা নিয়ে পাল্টা পথে নামে দলিত সমাজ। যা রাজ্যে ভোটের অন্যতম বড় বিষয় হতে চলেছে। বিজেপির অভিযোগ, দলিতদের উস্কানি দিচ্ছে কংগ্রেস। শাহ বলেন, ‘‘গত ৫৫ বছর ধরে হাতি সম্প্রদায় যে লড়াই করছিলেন, তা জেনেই প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সমস্যা নিরসনে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কিন্তু মানুষকে ভুল বোঝাতে পথে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। তারা দলিত সমাজকে বোঝাতে শুরু করেছে এতে তাঁদের ও তফসিলি জাতির অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে। সংরক্ষণের সুযোগ হারাবেন তাঁরা। যা মিথ্যা।’’ ভুল ধারণা ভাঙাতে দলীয় কর্মীদের দলিত মহল্লায় ঘোরার নির্দেশ দিয়েছে দল।

Advertisement

অন্য দিকে, গুজরাতেও এ যাত্রায় লড়াই কঠিন বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাই গুজরাতে আরও বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিরোধীদের মতে, মোদী সরকারকে সেই সুযোগ করে দিতেই গত কাল হিমাচলপ্রদেশের সঙ্গে গুজরাতের ভোট ঘোষণা করেনি কমিশন। বিজেপি সূত্রের মতে, আগামী সপ্তাহে একাধিকবার গুজরাত সফরে গিয়ে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ঘোষণা ও শিলান্যাস করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। গত কাল গুজরাতে দলীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে বৈঠকে বসেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে গুজরাতে জয়ী বিধায়ক ও মন্ত্রীদের কাজ নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকে একাধিক মন্ত্রীর কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন