প্রতীকী ছবি।
দু’রাজ্যের বিধানসভা ও দিল্লি পুরনিগমের ভোট শেষ হলেই লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। আগামিকাল দিল্লিতে পুর নিগমের ভোট। তার পরের দিন অর্থাৎ পাঁচ ডিসেম্বর গুজরাতের দ্বিতীয় দফার ভোট। সে দিনই সকাল থেকে দিল্লিতে লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছে, যে হেতু ওই বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু হল আসন্ন লোকসভা নির্বাচন, তাই গোটা দেশে দলের যত পদাধিকারী রয়েছেন, তাঁদের সকলকে দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। বিজেপি জানিয়েছে, ওই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যে নিযুক্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক, সহ-পর্যবেক্ষক, রাজ্য সভাপতি, রাজ্যগুলির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-কে ওই বৈঠকে বাধ্যতামূলক ভাবে থাকতে বলা হয়েছে। দু’দিনের ওই বৈঠক মূলত পরিচালনা করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বৈঠকের শেষ দিনে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী বছর প্রায় দশটির কাছাকাছি রাজ্যে ভোট রয়েছে। তার পরের বছরই লোকসভা নির্বাচন। তাই বিধানসভাগুলির প্রস্তুতির সঙ্গেই যাতে লোকসভার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া যায়, সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে। রাজ্য বিধানসভা ও লোকসভার আগে রাজ্যওয়াড়ি দলের হাল, আগামী দিনে দলকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে হলে কী ধরনের কৌশল নিয়ে এগোনো হবে, সেই সব নিয়েই ওই বৈঠকে মূলত আলোচনা হতে চলেছে। লোকসভার প্রস্তুতি প্রশ্নে প্রতিটি রাজ্যে দলের পরিস্থিতি কেমন, তা নিয়েও বিশদে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দলের এক নেতার কথায়, ‘‘মূলত গত আট-নয় বছরে সরকারের সাফল্যের দিকগুলি কী ভাবে আমজনতার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। তার মধ্যে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুফলের ফলে আমজনতার দৈনন্দিন জীবনে কী ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, তা যেমন তুলে ধরা হবে, তেমনই দেশে আগামী এক বছর ধরে জি-২০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন হওয়া দেশের পক্ষে কতটা গৌরবের বিষয়, তা-ও সবিস্তারে ব্যাখ্যা করা হবে। যাতে সেই বার্তা আমজনতার কাছে পৌঁছতে পারে।