পরীক্ষা পাস করলেন পর্রীকর।
গোয়ার আস্থা ভোটে হিসেব মতোই জিতে গেলেন মনোহর পর্রীকর। কংগ্রেস একক ভাবে সব থেকে বেশি আসন পাওয়া সত্ত্বেও, জোটের খেলায় গো-হারা হেরে রইল বিজেপি-র কাছে। ৪০ বিধায়কের গোয়া বিধানসভায় মনোহরের পক্ষে পড়ল ২২ জনের সমর্থন। স্পিকার ভোট দেননি।
গত পরশু শপথ নিয়েছিলেন পর্রীকর। আজ আস্থা ভোটে জয়ের পর তাঁর উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া, দিল্লি থেকে গোয়ায় ফেরাটা ঘরে ফেরার আনন্দের মতোই। গোয়ায় ফল বেরোনোর পরই কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে আসেন তিনি।
গোয়া বিধানসভার ৪০ আসনের মধ্যে ১৭টি আসনে জিতেছে কংগ্রেস। বিজেপি ১৩টি। গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ৩টি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক ৩টি এবং এনসিপি ১টি আসন জেতে। নির্দল বিধায়ক ৩ জন। ফ্লোর টেস্টের হিসেবেই পরিষ্কার, কংগ্রেস বাদ দিয়ে বাকি সব বিধায়কের সমর্থনই পেয়েছেন মনোহর পর্রীকর।
চলছে আস্থাভোট।
গত শনিবার ভোটের ফল বেরোনোর পর খুব দ্রুতই গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি, মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক এবং দুই নির্দলের সমর্থন জোগার করে ফেলে সরকার গড়ার দৌড়ে এগিয়ে যায় বিজেপি। রাজ্যপালকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থনের সই দেখিয়ে সরকার গড়ার ডাক পেয়ে যান পর্রীকর। কংগ্রেস উপযুক্ত সংখ্যার সমর্থন নিয়ে রাজভবনে যেতে পারেনি। কিন্তু একক বৃহত্তম দল হিসেবে তাদেরই আগে সরকার গড়তে ডাকা উচিত- এই যুক্তিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা। কিন্তু মনোহরের শপথে স্থগিতাদেশের আবেদন পত্রপাঠ খারিজ হয়ে যায় শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট আজকের মধ্যে মনোহরকে বিধানসভায় গরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দেয়। সেই মতোই আস্থা ভোট হল আজ।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে শপথ অমরেন্দ্রর, পা ছুঁলেন সিধু, টুইটারে ফের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
কংগ্রেস অবশ্য অভিযোগ তুলেছে, হর্স ট্রেডিং-এর আশ্রয় নিয়েছে বিজেপি। তবে বিজেপি তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। মনোহর পর্রীকর বলেন, “দেশবাসীর কাছে আমরা এটা প্রমাণ করতে পেরেছি, আমাদের সঙ্গে বাকি দলগুলির সমর্থন রয়েছে। এবং আমরা সফল হয়েছি।”
ছবি পিটিআই