হাসপাতালে সংক্রমণ

ব্লাড ব্যাঙ্কের সব রক্ত ফের পরীক্ষার নির্দেশ

রাজ্যের সব ব্লাড ব্যাঙ্কে ১৩ মে পর্যন্ত সংগৃহীত সব রক্ত ফের পরীক্ষা করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব সমীর সিংহ। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার সময় একটি শিশুর এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসার পরেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৬ ০৩:১৯
Share:

রাজ্যের সব ব্লাড ব্যাঙ্কে ১৩ মে পর্যন্ত সংগৃহীত সব রক্ত ফের পরীক্ষা করার নির্দেশ দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব সমীর সিংহ। গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার সময় একটি শিশুর এইচআইভি সংক্রমণের ঘটনা সামনে আসার পরেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

Advertisement

হাসপাতালের সুপার বাবুল বেজবরুয়ার নেতৃত্বে যে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে তারা অবশ্য তদন্ত করে জানিয়েছে, এডস কন্ট্রোল সোসাইটির তরফে আনা অভিযোগ সত্য নয়। ওই শিশুটি গত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরে ফের মার্চ মাসে হাসপাতালে আসে। ৩১ মার্চ তার রক্তে এইচআইভি ধরার পড়ার পরে ১ এপ্রিল থেকে তার এআরটি চিকিৎসা শুরু হয়ে গিয়েছিল। সব তথ্যই সোসাইটিকে পাঠানোও হয়। পাশাপাশি, তদন্ত কমিটি জেনেছে শিশুর দগ্ধ দেহে একাধিকবার অস্ত্রোপচার করা হয়। হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়ার পরেও তার চিকিৎসা হয়েছে। তাই অন্য কোনও ভাবেও তার শরীরে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে বলে তাঁদের ধারণা। সেই সঙ্গে তদন্তে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে তাকে ৬ ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়েছিল। এক বোতল রক্ত বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকে আনা হয়। বাকি এক বোতল রক্ত দিয়েছিলেন এক মিজো নার্স। তিনি বর্তমানে শিলচরে কর্মরত। তাঁর রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হবে। শিশুটির চিকিৎসার খরচ সরকারকে নিতে হবে বলে এবং আদালতের নজরদারিতেই নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবিতে গত কাল শিশুটির বাবা গৌহাটি হাইকোর্টে একটি আবেদন জানিয়েছেন।

এই ঘটনার পরে জানা গিয়েছে, রক্তে এইচআইভি জীবাণু শণাক্তকরণের আধুনিক যন্ত্র রাজ্যের কোনও হাসপাতাল বা ব্লাড ব্যাঙ্কেই নেই। এই যন্ত্রে তাৎক্ষণিক ভাবে এইচআইভি শণাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে ওই যন্ত্রের জন্য আবেদন জানিয়েও যন্ত্রটি পায়নি গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ।

Advertisement

অন্য দিকে, কোকরাঝাড় জেলার তিতলিগুড়ি দোতমায় গ্রামীণ স্বাস্থ্য মিশনের চলমান ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যের ওষুধ খাওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ২৪ জন ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ২২ জনকে দোতমা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রূপনাথ ব্রহ্ম সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আবসু ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন