এসআইআর সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত বিএলও। —প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে ছেলের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। একই সঙ্গে করতে হচ্ছিল ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজও। অনেক রাত পর্যন্ত জেগে অনলাইনে ফর্ম আপলোড করতে হচ্ছিল। এরই মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল উত্তরপ্রদেশের এক বুথস্তরের আধিকারিক (বিএলও)-এর। বাড়িতে বসে এসআইআরের কাজ করতে করতে রাজস্থানেও মৃত্যু হয়েছে এক বিএলও-র। কাজের চাপের অভিযোগ তুলে উত্তরপ্রদেশে আত্মহত্যাও করেছেন এক বিএলও। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, কাজের জন্য তিনি পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছিলেন না।
উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা শোভারানি (৫৬) পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। ধামপুর এলাকায় একটি বুথে বিএলও হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ডায়াবেটিস-সহ শারীরিক কিছু সমস্যাও ছিল তাঁর। সামনেই ছেলের বিয়ে ছিল। সেই প্রস্তুতি চলছিল। তা নিয়ে কিছুটা চিন্তাতেও ছিলেন। এরই মধ্যে এসআইআরের কাজও করতে হচ্ছিল তাঁকে। শুক্রবার অনেক রাত পর্যন্ত জেগে এসআইআর-এর এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করতে হচ্ছিল তাঁকে। পরিবারের দাবি, তখনই বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করতে শুরু করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় শোভারানির।
যদিও জেলা প্রশাসনের দাবি, শোভারানির উপর এসআইআরের কাজ সংক্রান্ত কোনও চাপ ছিল না। অন্য দিকে রাজস্থানের ঢোলপুরেও বাড়িতে বসে এসআইআরের ফর্ম আপলোড করতে করতে মৃত্যু হয় ৪২ বছর বয়সি এক বিএলও-র। পুলিশ জানিয়েছে, অনুজ গর্গ নামে ওই ব্যক্তি শনিবার রাতে ভোটারদের তথ্য আপলোড করছিলেন। পেশায় স্কুলশিক্ষক অনুজ ঢোলপুরের গোশালা সেক্টরে বিএলও হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর উপর কাজের অত্যধিক চাপ আসছিল বলে দাবি পরিবারের।
মৃত বিএলও-র বোন বন্দনা গর্গ জানান, প্রত্যেক রাতে অনেক বেশি ক্ষণ ধরে জেগে কাজ করতে হত অনুজকে। তাঁর উপর কাজে অত্যধিক চাপ ছিল বলে জানান তিনি। বন্দনা জানান, শনিবার রাতে চা খেতে চেয়েছিলেন অনুজ। কিন্তু সেই চা বানিয়ে আনার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। কী কারণে অনুজের মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয় মৃত বিএলও-র দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।