পাহাড়ি টিলার উপর থেকে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন বছর ছাব্বিশের তরুণ। শনিবার সকালে দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়ার বাঁশপদুয়ায় ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী তাঁকে বাঁচান। কথাবার্তা অসংলগ্ন থাকায় দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল সন্তোষ দেবনাথকে। দুপুরের পরে পরিস্থিতি কিছুটা ঠিক হওয়ায় বাঁধন খুতেই ফের বিপত্তি। ঘাস কাটার কাঁচি পেটে ঢুকিয়ে দেন তিনি। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
তাঁর সঙ্গে কথা বলে হতবাক পুলিশের তদন্তকারীরা। ওই তরুণ জানান, ব্লু হোয়েল খেলার একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। তা-ই তাঁকে এ ভাবেই আত্মহত্যার ‘নির্দেশ’ দেওয়া হয়েছে। সব কিছু জেনে ডাক পড়েছে মনোবিদের।
মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত সাহা জানিয়েছেন, দিনপনেরো ধরে ওই খেলায় আসক্ত সন্তোষ। প্রথমে ওই খেলা ‘ডাউনলোড’ করেও মুছে দিয়েছিলেন।
পরে ফের তা মোবাইলে নেন। লক্ষ্মীপুজোর দিন নির্জন জায়গায় গিয়ে হাত, শরীর ধারালো অস্ত্রে কাটেন। সেই সময় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিজনরা। কিন্তু কেউ কারণ জানতে পারেননি। বিলোনিয়া থানার পুলিশ আধিকারিক ফিরোজ মিঞা জানিয়েছেন,
সন্তোষের ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই তরুণ রবার বাগানের কর্মী। মারণ-খেলা নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় প্রচার শুরু করেছে পুলিশ।