কিছু দিনের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে শুরু হতে পারে বফর্স কেলেঙ্কারি নিয়ে শুনানি। বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অজয় অগ্রবালের আবেদনের ভিত্তিতেই এই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।
সুই়ডেনের বফর্স সংস্থা ভারতে হাউইৎজার কামান বিক্রি করতে গিয়ে ঘুষ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ঠিক ৩০ বছর আগে, ১৯৮৭ সালে। ১৯৯০ সালে এই বিষয়ে এফআইআর করে সিবিআই। ২০০৫ সালে বফর্স মামলায় প্রবাসী ভারতীয় শিল্পপতি হিন্দুজা ভাইদের মুক্তি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেনি সিবিআই। তার আগেই দিল্লি হাইকোর্ট ওই মামলা থেকে মুক্তি দিয়েছিল প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে।
সম্প্রতি সুই়ডেনে ওই মামলার প্রধান তদন্তকারী স্টেন লিন্ডস্টর্মকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করে, বফর্স কামান বিক্রির সময়ে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। একটি সংসদীয় কমিটিও প্রশ্ন তোলে, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে যায়নি কেন? শীর্ষ আদালতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখতে সিবিআইকে নির্দেশ দেয় ওই কমিটি। সিবিআই অবশ্য আগেই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, ইউপিএ সরকার তাদের দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করার অনুমতি দেয়নি।
বিজেপি নেতা অজয় অগ্রবাল এর আগেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, জুলাই মাসের গোড়ার দিকেই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের সাপ্তাহিক শুনানির তালিকায় ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটির শুনানি হয়ে ওঠেনি। সাংবিধানিক বেঞ্চে গোপনীয়তা সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়ে গেলে বফর্স মামলা উঠতে পারে।
২০১৪ সালে ইডি-কেও একটি চিঠি লিখেছিলেন অগ্রবাল। তাতে তিনি জানান, বফর্সের ঘুষের টাকা কী ভাবে বিদেশে গিয়েছে, তা নিয়ে ফেমা ও বেআইনি আর্থিক আদানপ্রদান সংক্রান্ত আইনেও তদন্ত হতে পারে।