গুজরাতের বিলকিস বানোকে গণধর্ষণের মামলায় তিন জন দোষীর মৃত্যুদণ্ড চেয়ে সিবিআই-এর আবেদন খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভি কে তাহিলরামানি ও বিচারপতি মৃদুলা ভাটকরের ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দেয়। ওই তিন জন-সহ ১১ জন দোষীর আজীবন কারাবাসের রায় অবশ্য বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। গত ২১ জানুয়ারি ২০০৮ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের রায় দিয়েছিল বিশেষ আদালত। মামলা চলাকালীন এক জন মারা যায়। বাকিরা শাস্তির বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে। এ দিন সেই আবেদনও খারিজ করল বম্বে হাইকোর্ট।
গোধরা কাণ্ডের পর গুজরাত দাঙ্গার তলাকালীন ৩ মে ২০০২ দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে ভয়াবহ হামলা চালায় দাঙ্গাকারীরা। গ্রামের বাসিন্দা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিস বানো-সহ তাঁর মা-বোনকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর তিন বছরের মেয়েকে পাথরে আছড়ে মারে দোষীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এর পর তাঁর পরিবারের ১৪ জন-সহ ওই গ্রামের মোট ১৭ জনকে খুন করে দাঙ্গাকারীরা।
আরও পড়ুন: ফাঁস হয়ে গিয়েছে বহু আধার কার্ডের তথ্য, সুপ্রিম কোর্টে মেনে নিল সরকার
এই অপরাধকে ‘বিরল থেকে বিরলতম’ আখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে সিবিআইয়ের দাবি ছিল, ওই ১১ জন দোষীদের মধ্যে যশবন্ত নাই, গোবিন্দ নাই, শৈলেশ ভট্ট— এই তিন জনকে ফাঁসির সাজা শোনানো হোক। কারণ, বিলকিস বানোকে গণধর্ষণে এরা সরাসরি জড়িত বলে প্রমাণ মিলেছে। সিবিআইয়ের আরও দাবি, দোষীদের ফাঁসির সাজা হলে এতে কড়া বার্তাই দেওয়া হবে। তবে হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করে দেয়। যদিও এই মামলায় পাঁচ গুজরাত পুলিশ আধিকারিককেও ছাড় দেয়নি হাইকোর্ট। ঘটনার তদন্তে তথ্যপ্রমাণে গরমিল করায় তারা জড়িত বলে সিবিআই যে তদন্ত রিপোর্ট পাশ করেছে, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তা মেনে নিয়েছে।