উধাও ভিড় জামশেদপুরে। —পার্থ চক্রবর্তী
শীতের মরসুমে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন প্রান্তে বসে মেলা। নোট-সঙ্কটে এ বার ভিড় যে তেমন জমবে না, তার প্রাথমিক আভাস দিল জামশেদপুর বইমেলা।
সেখানে অংশগ্রহণকারী প্রকাশকরা জানালেন, বইমেলায় ভিড় জমেনি একেবারেই। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে আগামী দু’মাস ৩০-৪০ বইমেলা বসবে। কিন্তু নোট-সঙ্কট জারি থাকলে সে সবে কত জন প্রকাশক যোগ দেবেন, তা নিয়ে সংশয় থাকবে। এক প্রশাসকের বক্তব্য, ‘‘জামশেদপুর বইমেলায় আসা লোকজন বলছেন— হাতে পয়সা নেই, সংসার চালানোর আলু, পিঁয়াজ কিনবো না বই!’’ জামশেদপুরের টেগোর সোসাইটি আয়োজিত বইমেলা অন্যান্য বছর প্রথম দিন থেকে ভিড় উপচে পড়ে। এ বারের ছবিটা ছিল একেবারেই অন্যরকম। সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আশিস চৌধুরী বলেন, ‘‘ভিড় আগের বারের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। বিক্রিও হয়েছে সামান্য।’’ বইমেলায় সামিল কলকাতার প্রথম সারির বাংলা প্রকাশনা সংস্থার কর্মী অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মরসুমের শুরুতেই ধাক্কা খেলাম। অন্যান্য বারের তুলনায় এক তৃতীয়ংশ বইও এখানে বিক্রি হয়নি।’’
জামশেদপুরের কদমার বাসিন্দা রাজেশ চৌধুরী কর্মসূত্রে থাকেন বেঙ্গালুরুতে। প্রায় ফাঁকা বইমেলা চত্বরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। কথায় কথায় জানালেন, ‘‘প্রতি বার এই সময় বাড়িতে ফিরি। বইমেলা থেকে অনেক বই কিনি। কিন্তু এ বার হাতে তেমন টাকা নেই। ব্যাঙ্কে ৩-৪ ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে তোলা টাকা সংসারের পিছনেই চলে যাচ্ছে। বই কেনার সাহস পাচ্ছি না তাই।’’