ছাত্রকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে রাঁচির একটি আবাসিক স্কুলে।
শুক্রবার স্যাফায়র ইন্টারন্যাশনল স্কুলে বেলা দেড়টা নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় ক্লাস সেভেনের ওই ছাত্রটিকে খুঁজে পান কয়েক জন শিক্ষক। তত্ক্ষণাত্ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
রাঁচি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে হাতিয়ায় সিবিএসই অনুমোদিত স্কুলটির বেশির ভাগ ছাত্রই বর্ধিষ্ণু পরিবারের। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্টও কিন্তু বলছে, এটা কোনও ভাবেই দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, গত ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ওই এগারো বছরের বালকের উপর মারাত্মক শারীরিক নিগ্রহ হয়েছে। বিনয়ের সামনের দুটো দাঁত ভেঙে গিয়েছে, দুই চোখই মারাত্মক ভাবে জখম। মাথার পিছনে ভারি কিছু দিয়ে আঘাত করার ক্ষত রয়েছে। কানের পাশেও গভীর গর্তের মতো ক্ষত। সারা মুখে অজস্র আঘাতের চিহ্ন। শুধু তাই নয়, পেটেও এতটাই আঘাত লেগেছে যে তার লিভার ফেটে গিয়ে ভিতরে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
হাতিয়ার অ্যাডিশনল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ প্রশান্ত আনন্দ বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তে অনুমান যৌন নির্যাতনের জেরে মৃত্যু হয়েছে ছেলেটির। ঘটনাটিতে এক শিক্ষকের জড়িত থাকার সম্ভাবনা প্রবল। আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।’’
সন্দেহভাজন শিক্ষকের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই ছাত্রের অন্তর্বাস।
আরও পড়ুন-ছেলের এক কোটি টাকা মাইনে! শুনে বাক্রুদ্ধ ঝালাই মিস্ত্রি বাবা
ম়ৃত পড়ুয়ার বাবার অভিযোগ, যৌন নির্যাতনের পর ওই শিক্ষক খুন করেছে তাঁর ছেলেকে। ‘‘লোকটাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হোক বা তুলে দেওয়া হোক আমার হাতে’’— দাবি জানিয়েছেন সদ্য সন্তানহারা পিতা।
তুপুদানা পুলিশ স্টেশনে দায়ের করা এফআইআর অনুযায়ী, ছাত্রটির বাবা যখন তার দেহ হাতে পান তখন দেখেন তার মুখে গভীর ক্ষত। তাঁর অভিযোগ, স্কুল থেকে তাঁকে মিথ্যে খবর দেওয়া হয়েছিল। ‘‘স্কুল থেকে জানায় সাধারণ জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আমার ছেলে। সেরেও উঠবে জলদি। হাসপাতালে গিয়ে আমি ছেলের লাশ পেলাম।’’
অন্য দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পুলিশকে সব রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।