প্রতীকী ছবি।
শুধু সেনা-বিএসএফ নয়, ধারাবাহিক পাক হামলায় সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখায় সমানে রক্ত ঝরছে সাধারণ নাগরিকদের। শনিবারও সে ঘটনায় ছেদ পড়ল না। এ দিন সকালে আরএস পুরা সেক্টরে পাক হামলায় ১৫ বছরের এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার খুব ভোর থেকে পুরা সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে শুরু করে পাক সেনা। এর পাল্টা জবাবও দেয় ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, পাক গুলিতে মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। তবে, ভারতীয় সেনার তরফে ওই কিশোরের কোনও পরিচয় জানানো হয়নি। সে স্থানীয় বাসিন্দা বলেই জানা গিয়েছে।
সরকারি সূত্র বলছে, নতুন বছরের ২০ দিনের মধ্যে একশো বারের বেশি বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক বাহিনী। গোলাগুলিতেই এর কড়া জবাব দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার এই আরএস পুরা সেক্টরের সুচেতগড়ের তিন বাসিন্দার প্রাণ নেয় পাক গোলা। জখম হন অন্তত ৫ জন গ্রামবাসী। মারা যান বিএসএফের এক জওয়ানও। অন্য দিকে, জম্মুর রাজৌরিতে কেরি সেক্টরেও মৃত্যু হয় এক সেনা জওয়ানের।
আরও পড়ুন: পাক সীমান্তে ক্ষতবিক্ষত গ্রাম, নিন্দায় দিল্লি
ধারাবাহিক সংঘর্ষবিরতির ঘটনায় শুক্রবারই নয়াদিল্লির তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। ভারতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার সৈয়দ হায়দার শাহকে বিদেশ মন্ত্রকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ইচ্ছাকৃত ভাবে নিরস্ত্র নাগরিকদের নিশানা করার জন্য তীব্র ক্ষোভ জানানো হয়। এমন আক্রমণ যে গোটা বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত সব মানবিক রীতিনীতির বিরোধী, বিশেষ ভাবে সে কথা উল্লেখ করে বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু, তার পরও পরিস্থিতির যে সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি, এ দিনের ঘটনা সে কথা ফের প্রমাণ করল।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রেই নানা মত চিন নিয়ে, প্রশ্ন অনেক