RJD

‘ব্রাহ্মণরা রাশিয়া থেকে এসেছে, তাড়িয়ে দেওয়া উচিত’! নয়া তত্ত্ব বিহারের আরজেডি নেতার

গত শনিবার একটি সভায় যদুবংশকুমার যাদব দাবি করেন, ব্রাহ্মণদের আদি বাসস্থান ছিল রাশিয়া এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ। সেখান থেকে ভারতে এসে তারা মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি করছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২৩ ১৭:৪৯
Share:

আরজেডি বিধায়ক যদুবংশকুমার যাদবের মন্তব্যে সমালোচনার ঝড় বিহারে। — ফাইল ছবি।

ব্রাহ্মণরা রাশিয়া থেকে এসেছে। তাই তাদের তাড়িয়ে দেওয়া উচিত। এমনই দাবি করলেন বিহারের আরজেডি নেতা যদুবংশকুমার যাদব। গত ২৯ এপ্রিল বিহারের সুপৌলের একটি জনসভায় এই নতুন তত্ত্বের অবতারণা করেন লালু-তেজস্বীর দলের নেতা। মঙ্গলবার যা প্রকাশ্যে আনে একটি সংবাদ সংস্থা। তার পরেই শুরু হইচই।

Advertisement

শনিবার সুপৌলের সভায় যদুবংশ বলেন, ‘‘যাদব সম্প্রদায়ই এই দেশের আদত বাসিন্দা। আজকের বিজ্ঞান নির্ভর দুনিয়ায়... ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়েছিল... ডিএনএ পরীক্ষায় বেরিয়েছে, কোনও ব্রাহ্মণই এই দেশের আদি বাসিন্দা নয়, তারা রাশিয়া এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ থেকে এসে এখানে বসবাস শুরু করেছে। ব্রাহ্মণরা আমাদের বিভক্ত করে রেখে শাসন করার চেষ্টা করছে। তাদের তাড়া করে বার করে দেওয়া উচিত।’’

যদুবংশের এই মন্তব্য নিয়ে বিহারে নতুন করে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়েছে। শুধু বিজেপিই নয়, আরজেডি নেতার সমালোচনায় সরব হয়েছে বিহারে তাদের জোটসঙ্গী জেডিইউ-ও। জেডিইউ মুখপাত্র অভিষেক ঝা এই মন্তব্যকে নৃশংস বলে অভিহিত করে বলেছেন, ‘‘পরশুরাম কি রাশিয়া থেকে এসেছিলেন, না অন্য কোনও দেশ? আরজেডির উচিত এই সব নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এই সমস্ত আজেবাজে মন্তব্য করে আরজেডি নেতারা মহাগঠবন্ধনের ভাবমূর্তিকে খারাপ করছেন।’’

Advertisement

বিজেপির নিশানায় আরজেডি-জেডিইউ জোট। এই মন্তব্যকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করে গেরুয়া শিবিরের আক্ষেপ, ‘‘দেশে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে ভেদ তৈরি হয় এই ধরনের মানুষগুলির জন্য। আক্ষেপের জায়গা হল, এরাই আবার বিহার শাসন করছেন!’’ বিজেপির বিধায়ক নীরজকুমার বাবলু আরজেডির মনোজকুমার ঝা এবং জেডিইউয়ের সঞ্জয় ঝাকে যদুবংশের বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করার আবেদন জানিয়েছেন। ঘটনাচক্রে, দুই নেতাই ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ভুক্ত। তিনি বলেন, ‘‘দুই নেতা আমাদের বোঝান যে, আপনাদের আদি বাড়ি ঠিক কোথায় ছিল। আপনারা কি রাশিয়া থেকে এসেছেন?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন