প্রতীকী ছবি।
দুর্নীতি রোখার কৌশলের মাঝেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ল ২০০০ টাকার নোট!
নোটের চক্করে মানুষের প্রাণ যেখানে ওষ্ঠাগত হওয়ার জোগাড়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও নতুন নোট হাতে পাচ্ছেন না অনেকেই। এর মধ্যেই ঘুষ কাণ্ডে বাজেয়াপ্ত হল ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা পরিমাণের ২০০০ টাকার নোট! তাও প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্যেই।
বুধবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে কান্ডালা বন্দর সংস্থার দুই অফিসারকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে গুজরাত দুর্নীতি দমন শাখা। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন বন্দর সংস্থার উচ্চ পদস্থ ইঞ্জিনিয়ার পি শ্রীভিবাসু এবং অন্য জন সাব-ডিভিশনাল অফিসার কে কমতেকার।
মোটা টাকার বিনিময়ে বন্দর সংস্থার কিছু অফিসার যে দুর্নীতি করছেন সে খবর তদন্তকারী অফিসারদের কাছে অনেক আগে থেকেই ছিল। দিন কয়েক আগেই ধৃত দুই বন্দর অফিসারের মধ্যস্থতাকারী এক ব্যক্তির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। তাঁকে জেরা করেই ওই দুই অফিসারের কথা জানা যায়। এর পর জাল বিছিয়ে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। শ্রীভিবাসুর কাছ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং কমতেকারের কাছ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তার চেয়েও তাজ্জবের বিষয় হল উদ্ধার হওয়া টাকার সবগুলিই নতুন ২০০০ টাকার নোট।
চলতি মাসেই পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকা নোট বাতিল ঘোষণা করে নতুন ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোট বাজারে এনেছে মোদী সরকার। কিন্তু বাজারে তো দূর অস্ত, সাধারণ মানুষের হাতে সেই নোট পৌঁছে দিতে বেশিরভাগ ব্যাঙ্কও অপারগ। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর পরও ব্যর্থ হয়েই ফিরে আসতে হচ্ছে মানুষকে। টাকা তোলার উর্ধ্বসীমাও মাত্র ২০০০ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সেখানে এক সঙ্গে এতগুলো ২০০০ টাকার নোট কী ভাবে দুই বন্দর কর্তার হাতে এল তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।