(বাঁ দিকে) কে কবিতা এবং কে টি রাম রাও (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (কেসিআর) দল ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) অন্তর্দ্বন্দ্ব এ বার প্রকাশ্যে চলে এল। কেসিআর-পুত্র কে টি রাম রাও (কেটিআর)-এর নাম না-করেই তাঁকে নিশানা করলেন বোন তথা কেসিআর-কন্যা কে কবিতা। অভিযোগ করলেন যে, বিআরএস-কে বিজেপির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমি এটা হতে দেব না।”
কয়েক দিন ধরেই কবিতা এবং রাম রাওয়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষো চলছিল। সম্প্রতি দলের একাংশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে বাবা তথা বিআরএস প্রধান চন্দ্রশেখরকে চিঠি লেখেন কবিতা। কিন্তু সেই চিঠি প্রকাশ্যে চলে আসে। এই ঘটনার নেপথ্যেও ষড়যন্ত্র আছে বলে দাবি করেন কবিতা। তিনি বলেন, “চিঠি লেখা কি অপরাধ? আমি জানতে চাই, কে বা কারা এই চিঠি প্রকাশ্যে নিয়ে এল?”
কবিতা অভিযোগ করেন যে, কেসিআর-এর ভুল বার্তা তাঁর কাছে পৌঁছে দিতেন দলের কেউ কেউ। তেলঙ্গানায় দলের শোচনীয় ফলের জন্যও দলের একাংশকে দায়ী করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিআরএস-কে হারিয়ে তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। তার পর থেকে বিআরএস-এর একাধিক বিধায়ক হাত শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। গত কয়েক মাস ধরেই সে রাজ্যে কংগ্রেসকে রুখতে বিআরএস বিজেপির সঙ্গে হাত মেলাতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে সায় নেই কবিতার।
দলের একাংশের দিকে তোপ দাগলেও কবিতার নিশানায় যে দাদা রামই, তা স্পষ্ট। দলে ক্রমশ ‘কোণঠাসা’ হয়ে পড়া কবিতা ভবিষ্যতে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি।
তেলঙ্গানার পড়শি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশও সম্প্রতি দিদি এবং ভাইয়ের রাজনৈতিক লড়াই দেখেছে। ভাই, অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির সঙ্গে পারিবারিক বিরোধের কারণে ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়েন দিদি তথা অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির কন্যা ওয়াই এস শর্মিলা। কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি। বর্তমানে তিনি অন্ধ্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। জগন-শর্মিলার পর তেলঙ্গানায় এ বার কবিতা-রামের রাজনৈতিক পথ আলাদা হয় কি না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে।