গুরনাম সিংহ।
মারা গেলেন পাক সেনার গুলিতে গুরুতর জখম বিএসএফ জওয়ান গুরনাম সিংহ। শনিবার গভীর রাতে জম্মুর এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ২৬ বছরের এই জওয়ানের মৃত্যুতে তাঁর বাবা কুলবীর সিংহ বলেন, “খুব সাহসী ছিল। দেশের জন্য ও প্রাণ দিয়েছে। আমার কোনও দুঃখ নেই।” পাশাপাশি তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেন যে সব জওয়ান জখন হচ্ছেন তাঁদের জন্য ভাল হসপাতালের যেন ব্যবস্থা করা হয়, যেখানে চিকিত্সার সব সুযোগ পাওয়া যাবে। রবিবার গুরনামকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় ভারতীয় সেনা।
গুরনামের মৃত্যুতে জম্মুর বিএসএফের আইজি ডি কে উপাধ্যায় বলেন, “ওর জন্য গর্ব হচ্ছে যে ভাবে বাহাদুরির সঙ্গে শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করেছে তা প্রশংসনীয়।”
গত ১৯-২০ অক্টোবর জম্মুর হীরানগর সেক্টরে বোবিয়া পোস্টে দায়িত্বে ছিলেন গুরনাম। গভীর রাতে সীমান্তে কিছু লোকের আনাগোনা লক্ষ্য করেই তাঁর সঙ্গীদের সতর্ক করে দেন গুরনাম। জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বুঝতে পেরেই গুরনাম ও তাঁর সঙ্গী জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেন। পাল্টা গুলি চালায় জঙ্গিরাও। গুরনামের তত্পরতায় জঙ্গিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
২১ অক্টোবর রাত পৌনে দশটা নাগাদ পাক রেঞ্জার্স এর বদলা নেওয়ার জন্য গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় বিএসএফ জওয়ানরাও। নেতৃত্বে ছিলেন গুরনাম। সেই সময় পাক রেঞ্জার্সদের স্নাইপার থেকে ছোড়া গুলি গুরনামের দেহে লাগে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও পাক রেঞ্জার্সদের জবাব দিয়ে যান গুরনাম। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে জম্মুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পাক রেঞ্জার্সদের সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয় বিএসএফ। শুক্রবার পাক রেঞ্জার্স ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করলে বিএসএফও পাল্টা জবাব দেয়। এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানায়, তাদের ছোড়া গুলিতে সাত পাক সেনা নিহত হয়েছে। যদিও পাকিস্তান বিএসএফের এই খবরকে ভুয়ো বলে দাবি করে।
আরও খবর...
ভারতীয় সেনার গতিবিধি সম্পর্কে আইএসআইকে তথ্য পাচার করছিল এই চর