National

সেই জওয়ানের স্ত্রী কোর্টে গেলেন, বিএসএফ বলল, ফোনের রেকর্ড আছে

জওয়ানদের সঙ্গে বিএসএফ অফিসারদের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের হল দিল্লি হাইকোর্টে। মামলাটি করেছেন বিএসএফের কনস্টেবল তেজবাহাদুর যাদবের স্ত্রী শর্মিলা যাদব। শর্মিলার অভিযোগ, এমনকী, তাঁর সঙ্গেও টেলিফোনে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি তাঁর স্বামী তেজবাহাদুরকে, টানা তিন দিন। ও দিকে বিএসএফ বলল, ওই জওয়ান যে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলেন, সেই ফোন-কলের রেকর্ড তাদের কাছে আছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ১৬:৪৫
Share:

উর্দি পরা এই ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তেজবাহাদুর যাদব। —ফাইল চিত্র।

জওয়ানদের সঙ্গে বিএসএফ অফিসারদের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদে একটি মামলা দায়ের হল দিল্লি হাইকোর্টে। মামলাটি করেছেন বিএসএফের কনস্টেবল তেজবাহাদুর যাদবের স্ত্রী শর্মিলা যাদব। শর্মিলার অভিযোগ, এমনকী, তাঁর সঙ্গেও টেলিফোনে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি তাঁর স্বামী তেজবাহাদুরকে, টানা তিন দিন। তাঁর স্বামী কেমন আছেন, জানতে চেয়ে দু’টি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। তাঁরও কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি বিএসএফ কর্তৃপক্ষ। দিল্লি হাইকোর্ট ওই মামলার শুনানি দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। ও দিকে বিএসএফ বলল, ওই জওয়ান যে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলেন, সেই ফোন-কলের রেকর্ড তাদের কাছে আছে।

Advertisement

এর আগে, ফেসবুকে প্রকাশ করা একটি ভিডিও’য় বিএসএফের কনস্টেবল তেজবাহাদুর যাদব অভিযোগ করেছিলেন, রণাঙ্গনে থাকার সময়ে তাঁর মতো জওয়ানদের যে খাবারদাবার দেওয়া হত, তা মুখে দেওয়ার যোগ্য নয়।

তেজবাহাদুরের শ্যালক বিজয় বলেছেন, ‘‘শর্মিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা বলেছিলেন ৭ ফেব্রুয়ারি। আমরা ওঁর (তেজবাহাদুর) মোবাইল ফোনে বার বার ফোন করেছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি। কেউ ওঁর ফোন ধরে আমাদের কথা শোনার প্রয়োজন বোধ করেননি। আর যখন আমরা ওঁর (তেজবাহাদুর) অফিসের টেলিফোন নম্বরে ফোন করেছি, তখন কেউই আমাদের এক বারের জন্যেও জানাননি, তেজবাহাদুর কোথায় রয়েছেন। অনেক সময় ওঁরা আমাদের ফোন হোল্ড করে রেখে দিয়েছেন।’’

Advertisement

বিএসএফ কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই সব অভিযোগ মেনে নেননি। তাঁদের দাবি, তেজবাহাদুর গতকালই তাঁর স্ত্রী, পুত্র আর ভাইয়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে‌ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা ৪০ ও ৬টা ৪৬ মিনিটে। সেই ফোন-কলের রেকর্ডও তাঁদের কাছে রয়েছে বলে বিএসএফের দাবি।

আরও পড়ুন- সই জাল করেছেন শশী! পনীরের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস রাজ্যপালের

মাসখানেক আগে ফেসবুকে প্রকাশ করা একটি ভিডিও’য় তেজবাহাদুর দেখিয়েছিলেন, বিএসএফ ক্যাম্পে তাঁদের কেমন পোড়া চাপাটি, সেদ্ধ না হওয়া ডাল আর জলের মতো ঝোল দেওয়া হয়েছে। তার ফলে অনেক জওয়ানই রাতে কিছু না খেয়ে শুয়ে পড়েছে। ওই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিএসএফের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement