মধ্যপ্রদেশের বিধায়ক রমাবাঈ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
মন্ত্রিত্ব পাননি তো কী হয়েছে? নিজেকে কিংমেকার বলতে ছাড়ছেন না মধ্যপ্রদেশের মহিলা বিধায়ক রমাবাঈ সিংহ। তাঁর দাবি, রাজ্যে সরকার গড়ার মূল কারিগর তিনিই। এখানেই থেমে থাকেননি রমাবাঈ। জানিয়েছেন, ধারে-ভারে তিনি রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, “হম মন্ত্রীও কা বাপ হ্যায়, হমনে হি সরকার বানায়ি হ্যায়।”
প্রাথমিক দাবি ছিল মন্ত্রিত্বের। তবে তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই মনবদল রমাবাঈয়ের। শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, “মন্ত্রী হলে আমি ভাল ভাল কাজ করব। না হলেও আমি সঠিক কাজই করব।”
মন্ত্রিত্বের দাবিতে সম্প্রতি সরব হয়েছিলেন বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রমাবাঈ। গত ৭ জানুয়ারি এ নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। তাঁর দাবি ছিল, দলের বিধায়ক সঞ্জীব সিংহ কুশওয়াহাকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং তাঁকে রাজ্যের মন্ত্রী করা হোক। তবে সে দাবিতে চিঁড়ে ভেজেনি। কমলনাথ সরকারের ক্যাবিনেটে ঠাঁই হয়নি কুশওয়াহার। মন্ত্রিত্ব পাননি রমাবাঈও। এর পর ২৩ জানুয়ারি ফের এ নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। পাথারিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক রমাবাঈের মত ছিল, সমস্ত মন্ত্রীদের খুশি করতে না পারলে কর্নাটকের মতো রাজনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হতে পারে মধ্যপ্রদেশেও।
আরও পড়ুন: পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর বোন গীতা মেহতা
আরও পড়ুন: প্রিয়ঙ্কা আসবেন, ঠিক হয়েছিল আগেই: রাহুল
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ২৩০টি আসনের মধ্যে ১১৪টিতে জয়লাভ করে কংগ্রেস। বিজেপি-র দখলে যায় ১০৯টি আসন। অন্য দিকে মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) ২টি আসনে জয়লাভ করে। ১টি আসনে জেতে সমাজবাদী পার্টি এবং নির্দল প্রার্থীরা পান ৪টি আসন। শেষমেশ মায়াবতীর সমর্থনেই সরকার গড়ে কংগ্রেস। এর পর থেকেই মন্ত্রিত্বের সরব হয়েছিলেন রমাবাঈ।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)