—ফাইল চিত্র।
বাজেটে কৃষকদের দেওয়া সাহায্যের ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পে কৃষকদের যে টাকা দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, দৈনিক হিসেব করলে তা মাত্র ১৭ টাকা! বিরোধীদের কটাক্ষের মুখে আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি ইঙ্গিত দিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি’ প্রকল্পে কৃষকদের জন্য টাকা ভবিষ্যতে বাড়ানো হতে পারে। ওই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা করার জন্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি।
চিকিৎসার কারণে বর্তমানে আমেরিকায় রয়েছেন জেটলি। তিনি বলেন, ‘‘এই বছরই প্রথম কৃষকদের টাকা দেওয়া শুরু হল। সরকারের আয় বাড়লে ভবিষ্যতে টাকার পরিমাণও বাড়ানো হবে।’’ তাঁর মতে, রাজ্য সরকারগুলিও চাইলে ওই প্রকল্পে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দিতে পারে। রাহুলকে ‘নেতিবাচকতার নবাব’ বলে কটাক্ষ করে জেটলির মন্তব্য, ‘‘কয়েকটি রাজ্য সরকার ওই প্রকল্পে কৃষকদের টাকা দেওয়া শুরু করছে। আমি যাঁকে নেতিবাচকতার নবাব বলে থাকি, তাঁকে আমার পরামর্শ, আপনার দল পরিচালিত সরকারগুলিও এই আয় সহায়তা প্রকল্পে টাকা দিক।’’
কৃষকদের আয়-সহায়তা প্রকল্পে ১২ কোটি পরিবার উপকৃত হবে বলে দাবি কেন্দ্রের। প্রকল্প কার্যকর হবে গত ১ ডিসেম্বর থেকে। কৃষকেরা প্রথম কিস্তি পাবেন আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রকের সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ বলেন, ‘‘কৃষি মন্ত্রক শীঘ্রই রাজ্যগুলির থেকে জমির তথ্য পাবে বলে আশাবাদী। সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি থেকেই টাকা দেওয়া শুরু হবে।’’
অন্তর্বর্তী বাজেটে কৃষকদের আয়-সহায়তা প্রকল্পকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেছিলেন, পরিবার পিছু দিনে ১৭ টাকা দিয়ে কৃষকদের অপমান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ওই প্রসঙ্গে রাহুলের উদ্দেশে জেটলির তির্যক মন্তব্য, ‘‘আপনি বড় হোন। আপনার বোঝা উচিত, আপনি সাধারণ নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন, কোনও কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নয়।’’
আয়-সহায়তা নিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের লাদাখে নাম না করে রাহুলকে নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকায় যে কৃষকেরা থাকেন, তাঁদের কাছে ৬০০০ টাকার মূল্য কতটা, তা দিল্লিতে ঠান্ডা ঘরে বসে থাকা লোকেরা কী করে বুঝবেন!’’ মোদীর দাবি, কংগ্রেসের কৃষি ঋণ মকুব নেহাতই চমক। ২০০৮-০৯ সালে প্রথম ইউপিএ সরকার ৬ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি ঋণ মকুবের কথা ঘোষণা করেছিল। আজ ওই প্রসঙ্গ তুলে মোদী জানিয়েছেন, শুধু ভোটে সুবিধা পেতে কংগ্রেস তাৎক্ষণিক সমাধান করে। তিনি বলেন, ‘‘নামদারের (রাহুল) ট্র্যাক রেকর্ড সকলেই জানেন। ১০ বছর আগের কৃষি ঋণ মকুবের কথা বলে এখন কৃষক মসিহা হতে চাইছেন।’’