প্রতীকী ছবি
গরিব চাষিদের মুখে সত্যিই হাসি ফুটছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে চাষিদের ঋণ মকুবে অখুশি ব্যবসায়ীরা।
দেশের ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন—‘কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স’ (সিএআইটি) আজ বিবৃতি দিয়ে জানাল, ভোটে লাভের জন্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে চাষিদের ঋণ মকুব করে দেওয়ার অর্থ দেশের কোটি কোটি করদাতার পিঠে ছুরি মারা। তাদের দাবি, চাষিদের ঋণ মকুব করা হলে ব্যবসায়ীদের ঋণ, কর, জরিমানাও মকুব করা হোক। সংগঠনের মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়ালের যুক্তি, ‘‘সরকারের উচিত, কৃষির সমস্যার সমাধান করা। এই খয়রাতি মানা হবে না। ২৬টি রাজ্যের ব্যবসায়ীরা দিল্লিতে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এই খয়রাতি চললে বিক্ষোভ হবে। প্রয়োজনে ব্যবসায়ীদের সংগঠন আদালতে যাবে।’’ ওই সংগঠনের অনেক সদস্যই বিজেপি ঘেঁষা বলে পরিচিত।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পর এবার তিন রাজ্যে ক্ষমতায় আসা কংগ্রেসও চাষিদের ঋণ মকুব করা শুরু করেছে। তা দেখে আবার বিজেপির দু’টি রাজ্যও গ্রামের মানুষের জন্য সুরাহা ঘোষণা করেছে। খয়রাতির এই প্রতিযোগিতা নিয়ে শিল্পমহলও অসন্তুষ্ট।
শিল্পপতি হর্ষ গোয়েন্কা বুধবার এ নিয়ে টুইট করেছিলেন, ‘আমার দু’টি ঋণ রয়েছে। একটি গাড়ির, আরেকটি বাড়ির। কেউ বলতে পারেন, কীভাবে আমি সেগুলো কৃষি ঋণে বদলে ফেলতে পারি?’ এই মন্তব্যকে অনেকে যেমন ‘বাস্তব’ বলে আখ্যা দিয়েছেন, তেমনই অনেকে সমালোচনাও করেন। হর্ষ আজ ফের টুইট করে জানান, তিনি চাষিদের কটাক্ষ করতে চাননি। অনেকেই তাঁর মন্তব্য ভুল বুঝেছেন।
শিল্পমহলের একাধিক ব্যক্তির যুক্তি, হর্ষ ঠিক প্রশ্নই তুলেছেন। ঋণ মকুবের ফায়দা ধনী চাষিরাই পেয়ে যান। তাছাড়া চাষি হলেই যদি ঋণ মকুব করা হয়, তাহলে অন্য নিম্নবিত্ত বা গরিব মানুষেরও সেই সুবিধা পাওয়া উচিত। এই যুক্তি দিয়েছে সিএআইটি-ও।