National news

উপনির্বাচনে মর্যাদার লড়াই, ব্যবধান আরও বাড়বে, বলছেন যোগী

উত্তরপ্রদেশের লড়াইটা এবার ত্রিমুখী। বিজেপিকে টক্কর দিতে আলাদা প্রার্থী না দিয়ে অখিলেশ যাদবের সপা-কে সমর্থন করেছে মায়াবতীর বসপা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ১৮:৪১
Share:

ভোট দিয়ে বেরিয়ে যোগী আদিত্যনাথ।ছবি: পিটিআই।

উত্তরপ্রদেশে ‘মর্যাদার লড়াই’ দুই লোকসভা কেন্দ্রে। টানটান উত্তেজনার সেই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হল আজ। গুজরাত-রাজস্থানের বেশ কিছু নির্বাচনে সম্প্রতি ধাক্কা খেলেও, উত্তর-পূর্ব ভারতে তারা শক্তি বাড়িয়েছে। কিন্তু গোবলয়ের কী অবস্থা? জানতে আগ্রহী গোটা রাজনৈতিক শিবির। আদিত্যনাথের ছেড়ে যাওয়া গোরক্ষপুর এবং কেশবপ্রসাদ মৌর্যের ছেড়ে যাওয়া ফুলপুর আসনের উপনির্বাচনের দিকে তাই আজ নজর গোটা দেশেরই।

Advertisement

শুধু উত্তরপ্রদেশে অবশ্য নয়, বিহারেও একটি লোকসভা ও দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য উপনির্বাচন হচ্ছে। রবিবার ভোটগ্রহণ হয় সেখানেও। বিকেল পর্যন্ত বিহারে ভোটদানের গড় হার ৫৫ শতাংশ। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে তা ৪০ শতাংশ। ফুলপুরে মাত্র ২০ শতাংশ।

উত্তরপ্রদেশের লড়াইটা এবার ত্রিমুখী। বিজেপিকে টক্কর দিতে আলাদা প্রার্থী না দিয়ে অখিলেশ যাদবের সপা-কে সমর্থন করেছে মায়াবতীর বসপা। কংগ্রেস অবশ্য আলাদাই লড়ছে। গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্রে গত পাঁচটি নির্বাচনে পর পর জয়ী হয়েছিলেন গোরক্ষপুর মঠের প্রধান যোগী আদিত্যনাথ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে ওই সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়েছে। আর ফুলপুরের সাংসদ ছিলেন কেশবপ্রসাদ মৌর্য। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় সাংসদ পদে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকেও।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘বাবাকে বলেছিলাম, তোমায় মরতে হবে’

মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্র যদি ছিনিয়ে নেওয়া যায়, তা হলে জোর ধাক্কা দেওয়া যাবে বিজেপি-কে— মনে করছে উত্তরপ্রদেশের দুই মূল বিরোধী দল সপা এবং বসপা। সেই কারণেই ওই দুই কেন্দ্রে অখিলেশের প্রার্থীকে সমর্থন করেছেন মায়াবতী।

আদিত্যনাথ অবশ্য এই সমঝোতাকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছেন না। ভোটগ্রহণ নিয়ে এ দিন সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এই নির্বাচনকে মর্যাদার লড়াই হিসেবে মেনে নিয়ে তাঁর দাবি, এ বার বিজেপি আগের বারের চেয়েও বেশি ব্যবধানে জয়ী হবে।

আরও পড়ুন: কাল ঘেরাও, মুম্বইয়ে কৃষক জমায়েত বাড়ছে, চাপে বিজেপি সরকার

সম্প্রতি গুজরাত ও রাজস্থানে যে সব স্থানীয় স্তরের নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতে বিরোধী দল কংগ্রেসের ফল বেশ ভাল। ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সেই হাওয়া যে এখনও গো-বলয়ের হৃদয়পুর উত্তরপ্রদেশে ঢোকেনি, তা প্রমাণ করার দায় রয়েছে বিজেপির। যদি বসপা সমর্থিক সপা প্রার্থী জিতে যান এই নির্বাচনে, তা হলে উত্তরপ্রদেশের গৈরিক-বসন মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি তো বাড়বেই। অস্বস্তি বাড়বে খোদ নরেন্দ্র মোদীরও। আর যদি সপা-বসপা জোটকে উড়িয়ে বিজেপি প্রার্থীরা বড়সড় ব্যবধানে জয়ী হতে পারেন, তা হলে যোগীরাজের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ কমই থাকবে। দলেও গুরুত্ব বাড়বে যোগীর।

বিহারে আরজেডি-র এককালের ‘স্ট্রংম্যান’ হিসেবে পরিচিত মহম্মদ তাসলিমুদ্দিনের মৃত্যুতে আরারিয়া লোকসভা আসনটি খালি হয়েছিল। বিজেপির আনন্দ ভূষণ পাণ্ড্য এবং আরজেডি-র মুন্দ্রিকা সিংহের মৃত্যুতে খালি হয়েছিল জহানাবাদ ও ভাবুয়া বিধানসভা কেন্দ্র। আজ ভোটগ্রহণ হয়েছে ওই আসনগুলিতেও। লালু এবং কংগ্রেসের হাত ছেড়ে নীতীশ কুমার বিজেপির হাত ধরে সরকার গড়ার পর এই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মুখে বিহার। নীতীশ-বিজেপি জোটকে বিহারবাসী কী চোখে দেখছেন, তার আঁচ পাওয়া যেতে পারে এই উপনির্বাচনের ফলাফলে। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ভোটের ফল বেরবে ১৪ মার্চ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন