মহারাষ্ট্রে ডান্স বার বন্ধ হোক, চায় কমিটি

রাজ্যে ডান্স বার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে সুপারিশ করল বিচারপতি সি এস ধর্মাধিকারীর কমিটি। মহিলাদের উপরে হিংসা রুখতে তৈরি এই কমিটির আরও বক্তব্য, নজর রাখা হোক ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটেও। মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই সূত্রেই তাদের সুপারিশ আদালতে জমা দিয়েছে ওই কমিটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৬
Share:

রাজ্যে ডান্স বার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য মহারাষ্ট্র সরকারের কাছে সুপারিশ করল বিচারপতি সি এস ধর্মাধিকারীর কমিটি। মহিলাদের উপরে হিংসা রুখতে তৈরি এই কমিটির আরও বক্তব্য, নজর রাখা হোক ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটেও। মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বম্বে হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সেই সূত্রেই তাদের সুপারিশ আদালতে জমা দিয়েছে ওই কমিটি।

Advertisement

ধর্মাধিকারী কমিটির মতে, মহারাষ্ট্রে এর আগে যখন ডান্স বার নিষিদ্ধ হয়েছিল, রাজ্যে তখন মহিলাদের উপরে নির্যাতন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই তারা ডান্স বারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা বহালের পক্ষপাতী। কমিটির বক্তব্য, “হোটেল বা রেস্তোরাঁয় বার-নর্তকীদের পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত। সুপ্রিম কোর্টের সুপারিশের কথা মাথায় রেখে এই বিষয়ে রাজ্য নতুন আইন প্রণয়ন করতে পারে।” ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য জানিয়েছিল, পানশালায় বার-নর্তকীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক। রাজ্যের অভিজাত হোটেল ও রেস্তোরাঁয় বার-নর্তকীদের নাচে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এ বছরের জুন মাসে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় একটি বিল পাশ হয়।

২০০৫-এ মহারাষ্ট্রের বারগুলিতে নর্তকীদের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সে সময়ে তিনতারা ও অন্য অভিজাত হোটেলে অবশ্য বার-নর্তকীদের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। মহারাষ্ট্র সরকারের নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। তখন রাজ্য সরকার তাদের অবস্থানের পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি দিতে পারেনি। এ বার সেই নিষেধাজ্ঞা সর্বস্তরে বহাল করার জন্য সুপারিশ করেছে ধর্মাধিকারী কমিটি।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে কমিটি সমালোচনা করেছে ফেসবুকেরও। সেখানে নানা রকম হিংসাত্মক মন্তব্য-ছবি ইত্যাদি থেকে মহিলাদের হেনস্থা বাড়ছে বলে মনে করছে কমিটি। তারা জানিয়েছে, শিশুদের মধ্যেও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এর সঙ্গেই কমিটি জানিয়েছে, বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের সময়ে মেয়েদের সুরক্ষা সংক্রান্ত সব আইন মানা হচ্ছে কি না দেখতে হবে। প্রয়োজনে বিবাহিতাকেই জানাতে হবে, বিয়ের সব উপহার ও টাকা তাঁর নামেই রাখা হচ্ছে কিনা। এ ছাড়া খাপ পঞ্চায়েতের মতো মহারাষ্ট্রে যে জাত পঞ্চায়েত রয়েছে, তাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে নীতি প্রণয়ন করার কথা ভাবতে বলেছে কমিটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন