National News

শান্তি ফেরাতে সিএএ প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র, দাবি অশোক গহলৌতের

নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কেন মা, বাবার জন্মস্থানের তথ্যাদিও জানাতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গহলৌত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৩:০২
Share:

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। জয়পুরে সিএএ বিরেোধী সমাবেশে। শনিবার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সংহতি ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রত্যাহারের দাবি জানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। শুধুই দাবি জানানো নয়, গহলৌত শনিবার আচমকা পৌঁছেও গেলেন জয়পুরের সিএএ এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে। যে জায়গাটিকে এখন জয়পুরের ‘শাহিনবাগ’ বলা হচ্ছে।

Advertisement

এ দিনের বিক্ষোভ সমাবেশে গহলৌত বলেন, “সংবিধানের ভাবাদর্শের বিরোধী এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা ও সংহতি ফিরিয়ে আনতে আইনটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত কেন্দ্রের।’’

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ও তাঁর সরকার আন্দোলনকারীদের পাশেই রয়েছেন। তার জন্য ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হলে, যাবেন বলেও জানান। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য কেন মা, বাবার জন্মস্থানের তথ্যাদিও জানাতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন গহলৌত।

Advertisement

আরও পড়ুন- ওমরের আটক নিয়ে প্রশাসনকে নোটিস কোর্টের​

আরও পড়ুন- পুলওয়ামায় কার বেশি লাভ, রাহুল-খোঁচায় খাপ্পা বিজেপি

বলেন, “আমি যদি আমার মা, বাবার জন্মস্থানের তথ্যাদি না জানাতে পারি, তা হলে আমাকেও গিয়ে থাকতে হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। অথচ, আমি আমার মা ও বাবার কোথায় জন্ম হয়েছিল, তা সঠিক ভাবে জানি না। আপনাদের জানিয়ে রাখছি, তেমন পরিস্থিতি এলে আমাকেই সবার আগে নিয়ে যাওয়া হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে। আমাকে সেখানে গিয়েই থাকতে হবে।’’

অসমে বিজেপি সরকার যে এই আইন কার্যকর করতে অস্বীকার করেছে, সে কথাও জানান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী।

গহলৌত বলেন, “কোনও সরকার কোনও আইন আনতেই পারেন। সরকারের সেই অধিকার রয়েছে। কিন্তু মানুষের ভাবাবেগ বুঝেই তো সরকারকে তার কাজটা করতে হবে। সেটা হয়নি। তাই দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ হচ্ছে। তুমুল বিক্ষোভ হচ্ছে রাজস্থান-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। সরকারকে বুঝতে হবে, মানুষ কী চাইছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন