জয়ললিতার ছবির পাশে দাঁড়িয়ে জে কৃষ্ণমূর্তি। ছবি :সংগ্রহ
নিজেকে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ছেলে বলে দাবি করায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতির রোষে পড়লেন এক যুবক। এই দাবি ভুল প্রমাণ হলে তাঁকে সোজা জেলে পাঠানো হবে বলে জানিয়ে দিলেন বিচারপতি।
জে কৃষ্ণমূর্তি। গত এক সপ্তাহ আগে তিনি জয়ললিতার সম্পত্তির অংশ চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। তাঁর দাবি, তিনি জয়ললিতা এবং তামিল অভিনেতা শোভন বাবুর সন্তান। ১৯৮৫ সালে তাঁর জন্ম হয়। তার এক বছর পর তাঁকে দত্তক নেন বসন্থামির বাসিন্দা জয়ললিতারই বাড়ির এক পরিচারিকা। সেই সংক্রান্ত নথিও আদালতে জমা দেন তিনি। যাতে জয়ললিতা, অভিনেতা শোভন বাবু এবং সাক্ষী হিসাবে এমজিআর-এর ‘সই’ রয়েছে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের কাছে তাঁর আবেদন, তাঁকে জয়ললিতার ছেলে হিসাবে ঘোষণা করা হোক এবং পোয়েজ গার্ডেনে জয়ললিতার প্রাসাদ সহ সম্পত্তির অংশ তাঁকে দেওয়া হোক।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি আর. মহাদেবন অবশ্য এই বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেননি। কোর্টে জমা দেওয়া সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে বিচারপতির অনুমান, সবটাই জাল কাগজপত্র। ওই যুবক নাকি এতটাই কাঁচা কাজ করেছেন যে, কোনও এলকেজি-র পড়ুয়াও তা ধরে ফেলবে। বিচারপতি মহাদেবন বলেন, ‘‘আদালত ছেলেখেলার জায়গা নয়। কারণ ওই কাজগগুলো যে সময়ের, তখন সই করার মতো শারীরিক ক্ষমকা ছিল না এমজিআর-এর। সে সময়ে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। হাত পর্যন্ত নাড়াতে পারতেন না। সই করবেন কী করে?’’ জাল কাগজপত্র পেশ করার দায়ে ওই যুবককে জেলে পাঠানোর হুমকিও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ তখ্তে কে? ঘোষণা হবে আজ
তাঁর কথার সত্যতা বিচারে বিচারপতি মহাদেবন চেন্নাই পুলিশ কমিশনারকে সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তামিলনাড়ুর তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা এআইডিএমকে-র নেত্রী জয়রাম জয়ললিতা। তাঁর মৃত্যুর আগে কোনও দিন এই যুবককে প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি। সম্পত্তির ভাগ চেয়ে এত দিন তিনি কেন কোর্টের দ্বারস্থ হননি সে নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।