স্ত্রী ঐশ্বর্যা রায়কে ডিভোর্স দিচ্ছেন লালুপ্রসাদের বড়ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব।
সম্পর্কের চিড় মেরামতির সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটালেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ নিজেই। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, তিনি আর কোনওভাবেই এই সম্পর্কে আবদ্ধ থাকতে চান না।
মাত্র পাঁচ মাস আগে বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী চন্দ্রিকা রায়ের মেয়ে ঐশ্বর্যার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল লালুপ্রসাদের বড় ছেলে তেজপ্রতাপের। হঠাৎ করেই শুক্রবার পটনার সিভিল কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন তেজপ্রতাপ। ওই দিন সন্ধ্যাতেই লালুর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তাঁর। সে জন্য মামলা দায়েরের পর সোজা রাঁচী উড়ে যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে চলেও যান তিনি। তারপরেই নাকি মত পরিবর্তন করেন। বিমানবন্দর থেকে সোজা বাড়ি ফিরে আসেন। এর পরই শুরু হয় জল্পনা।
কারণ, সূত্রের খবর, ওই সন্ধ্যাতেই লালুপ্রসাদের বাড়িতে বাবা চন্দ্রিকা রায়ের সঙ্গে এসেছিলেন স্ত্রী ঐশ্বর্যাও। কিন্তু বাড়িতে আসার কারণ নিয়ে তাঁরা বা লালুপ্রসাদের পরিবারের কেউই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কেউ মন্তব্য না করলেও এ নিয়েই শুরু হয় নতুন জল্পনা। মা রাবড়ি দেবী ছেলে-বৌমার সম্পর্কের ভাঙন রুখতে চাইছেন, জল্পনা এ নিয়েই।
আরও পড়ুন: ‘নিজেকে আবিষ্কার করতেই ঘর ছেড়েছিলাম’, উদ্ধার হওয়ার পর বলল বাঁশদ্রোণীর প্রীতম
তবে তেজপ্রতাপ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর কোনওভাবেই এই সম্পর্কে আবদ্ধ থাকতে চান না। তেজপ্রতাপ শনিবার বলেন, ‘‘এটা সত্যি। আমি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেছি। আমি উত্তর মেরু হলে ও দক্ষিণ মেরু। বাবা-মার সামনেও আমরা প্রচুর লড়াই করেছি। আমি ওঁর সঙ্গে আর থাকতে চাই না। এই ভাবে বেঁচে থাকাটা আসলে অর্থহীন।’’