৫৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে গাড়ির ভাড়া লাগছে ১ হাজার ৮০০ টাকা!
বরাকের বেহাল সড়ক দিয়ে শিলচর থেকে করিমগঞ্জ পৌঁছতে এতটাই খরচ হচ্ছে যাত্রীদের।
করিমগঞ্জ থেকে শিলচরের দুরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। ছোট গাড়ি ভাড়া নিয়ে ওই রাস্তায় যেতে এখন খরচ হবে আঠেরোশো টাকা। শুধু তাই নয়, ওই রুটে অসম পরিবহণ নিগমের বাসের ভাড়া আগে ছিল ৫২ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১০০।
পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমলে-বাড়লেও বদলায় না গাড়ি ভাড়া। করিমগঞ্জ-শিলচর সংযোগকারী সড়কের বেহাল দশার সুযোগ নিয়েই অনেক বেশি ভাড়া আদায় করছে গাড়ি-মালিকরা। অভিযোগ, সব জেনেশুনেও নীরব জেলা পরিবহণ বিভাগ। শুধু এ-ই নয়, অনেক গাড়ির সরকারি অনুমতিপত্রও (পারমিট) নেই। তাতে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারও। দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ, বিমার টাকা পাচ্ছেন না অনেক যাত্রীই।
নাজিম, আজম, এনাম, রাজীবদের মতো গাড়িচালকদের বক্তব্য, করিমগঞ্জ-শিলচর জাতীয় সড়কে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত খুবই সমস্যার। তাই কালীগঞ্জ, বসলা দিয়ে ৭ কিলোমিটার বেশি রাস্তা ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। নিত্যযাত্রীদের অনেকের অভিযোগ, বাড়তি রাস্তা ঘুরেও শিলচর পৌঁছতে ৬৩ কিলোমিটার দুরত্ব পেরতে হয়। সে জন্য ১ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া অস্বাভাবিক। ছোট গাড়িগুলি ভাড়া বাড়ানোর জেরে পরিবহণ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যক্তিগত বাসের ভাড়াও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, করিমগঞ্জ থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তা যেতে আগে ২০ টাকা গাড়িভাড়া দিতে হলেও, এখন নেওয়া হচ্ছে ৫০ টাকা।
উল্লেখ্য করিমগঞ্জ জেলার ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক একেবারেই বেহাল। গত কালও কয়েকটি গাড়ি সেখানে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। এলাকার বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দ্রুত তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন। জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে বদরপুর, মালুয়া, ভাঙ্গা এলাকায় কয়েকটি প্রতিবাদী সভাও হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই সব প্রতিবাদ
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কয়েক দিনের মধ্যেই হাজার হাজার মানুষ জাতীয় সড়ক মেরামতির দাবিতে করিমগঞ্জের জেলাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করবেন।