প্রতীকী ছবি।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেও তা বন্ধ করে দিল সিবিআই।
বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরঞ্জাম ও কয়লা আমদানি করার সময় তার দাম বেশি করে দেখিয়ে চড়া হারে বিদ্যুৎ মাসুল আদায় করার অভিযোগ উঠেছিল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ২০১৪-র জুন মাসে মহারাষ্ট্র রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, মহারাষ্ট্র ইস্টার্ন গ্রিড পাওয়ার ট্রান্সমিশন সংস্থা, আদানি এন্টারপ্রাইজ ও একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিন্তু নিয়মের কোনও পরোয়া না করে সেই তদন্ত বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির ঘনিষ্ঠতা নিয়ে একাধিক বার সরব হয়েছেন বিরোধীরা। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী প্রণব সচদেব। সেই মামলাতেই সিবিআইয়ের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছে, বিষয়টি মহারাষ্ট্রের বলে সিবিআই সেখানে নাক গলাতে পারছে না। কারণ মহারাষ্ট্র সরকারের অনুমতি নেই।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে এখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন সরকার। সচদেবার পাল্টা যুক্তি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেও যেখানে তদন্ত, সেখানে মহারাষ্ট্র সরকারের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন থাকতে পারে না।
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, মহারাষ্ট্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দায়িত্ব পাওয়ার পরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা ও যন্ত্রাংশ আমদানির সময়ে দাম চার গুণ বেশি করে দেখানো হয়েছিল। যাতে সেই অনুযায়ী খরচ দেখিয়ে চড়া হারে মাসুল আদায় করা যায়। এতে সংস্থার মুনাফা হলেও আমজনতার ঘাড়ে বোঝা চেপেছে বলে অভিযোগ।