বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দেওঘর ট্রেজারির টাকা তছরুপের মামলায় আগামিকাল, শনিবার আদালতের রায়ের মুখোমুখি হতে চলেছেন অবিভক্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ।
রাঁচীতে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে ওই মামলার চূড়ান্ত রায়দানে হাজির থাকতে আজই কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বীকে নিয়ে পটনা থেকে রাঁচী গিয়েছেন লালু। আরজেডি প্রধান অবশ্য ইতিমধ্যেই চাইবাসা ট্রেজারির টাকা তছরুপের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত। এখন জামিনে রয়েছেন।
পশুখাদ্য কেনার ভুয়ো বিল দেখিয়ে চাইবাসা, দেওঘরের মতো বিভিন্ন সরকার ট্রেজারি থেকে টাকা লোপাটের দায়ে একাধিক মামলা ঝুলছে লালু-সহ বেশ কিছু মন্ত্রী-আমলার বিরুদ্ধে। ২০১৩ সালে চাইবাসা ট্রেজারির মামলায় লালু দণ্ডিত হওয়ার পরে তাঁর বিরুদ্ধে ঝুলে থাকা অন্য মামলাগুলি রদ করে দেয় রাঁচী হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, একটি মামলায় দণ্ডিতের বিরুদ্ধে একই নথিপত্র ও একই রকম সাক্ষীসাবুদের ভিত্তিতে একই ধরনের অন্য মামলাগুলি চালানোর কোনও প্রয়োজন নেই। ২০১৪ সালের এই রায়ের বিরুদ্ধে সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে যায়। চলতি বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে প্রতিটি মামলার আলাদা আলাদা শুনানি চালানোর নির্দেশ দেয়।
গত কয়েক মাস ধরে লাগাতার শুনানি চলছে। এর মধ্যে দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৮৫ কোটি তছরুপের মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়। আগামী কাল তার রায় ঘোষণা হবে। এই মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল ৩৪। তার মধ্যে ১১ জন মারা গিয়েছেন। অবিভক্ত বিহারের আর এক মুখ্যমন্ত্রী, জগন্নাথ মিশ্রও এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত।