— ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে রাফাল-কাণ্ডে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান তুলেছিলেন রাহুল গাঁধী। এ বার সিবিআইয়ের অফিসারই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে মোদী সরকারের মন্ত্রী, ক্যাবিনেট সচিব, আইনসচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। কংগ্রেস সভাপতির মতে, এটা ‘চৌকিদারই চোর’ নামক দিল্লির রহস্য কাহিনির ‘নতুন পর্ব’।
রাহুল সুর বেঁধে দেওয়ার পরে কংগ্রেস নেতারা মাঠে নেমে আজ মোদী সরকার তথা বিজেপির কৈফিয়ত দাবি করেছেন। কিন্তু এমন আক্রমণের পরেও নীরব বিজেপি। সিবিআইয়ের ডিআইজি মণীশকুমার সিন্হা সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলার পরে ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু বিজেপি এ নিয়ে দলীয় মঞ্চ থেকে এক বারও মুখ খোলেনি।
রাহুল আজ টুইট করেন, ‘‘দিল্লিতে চৌকিদারই চোর নামের রহস্য কাহিনি চলছে। তার নতুন পর্বে সিবিআইয়ের ডিআইজি এক মন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, আইনসচিব ও ক্যাবিনেট সচিবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।’ রাকেশ আস্থানাকে গুজরাত থেকে নিয়ে এসে সিবিআইয়ে নিয়োগ করেছিল মোদী সরকার। এখন সেই আস্থানার বিরুদ্ধেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাহুল লিখেছেন, ‘‘গুজরাত থেকে নিয়ে আসা ওঁর সঙ্গী কোটি কোটি টাকার তোলাবাজি করছেন। অফিসারেরা ক্লান্ত। বিশ্বাস ভেঙে গিয়েছে। গণতন্ত্র কাঁদছে।’’
যাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের ডিআইজি ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন, সেই কয়লা ও খনি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী হরিভাই পার্থিভাই চৌধরি অবশ্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মণীশ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী সতীশ বাবু সানা রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। মণীশের দাবি, ওই ব্যবসায়ীই তাঁকে জানান যে তিনি হরিভাইকে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছেন। আইনসচিব সুরেশ চন্দ্র অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধরির বিরুদ্ধেও সানার সঙ্গে দেখা করা, আস্থানার সঙ্গে বৈঠকের অভিযোগ উঠেছে।
চৌধরির দাবি, মামলা চলছে। তাই তাঁর মুখ খোলা ঠিক হবে না।